এক এগারো এবং একজন সাহসী নারীর গল্প

আবু আজাদ
আবু আজাদ আবু আজাদ , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বহুল আলোচিত এক এগারোর ১২ বছর পূর্তি ছিল গতকাল (শুক্রবার)। চরম এক সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি অপরাহ্নে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বও ছেড়ে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দিন আহমদের হাতে।

যে সন্ধ্যায় ওয়ান-ইলেভেনের জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, সেই রাতে সুধাসদনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত দলের নেতাদের বলেছিলেন, এ ঘটনা রাজনীতিবিদদের জন্য ‘শুভ’ হবে না। পরে তাই-ই হয়েছে। একে একে গ্রেফতার হন ১৬০ জন শীর্ষ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যক্রম ক্রমশ পরিণত হয় সেমি মার্শাল ল’তে।

তারই অংশ হিসেবে ২০০৭ এর ১৬ জুলাই গ্রেফতার হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যেতে শুরু করে। রাজনীতির চেনা মানুষগুলো অচেনা হয়ে যায়। হালুয়া-রুটির মানুষগুলো কেউ বিদেশ পালিয়ে, কেউ বা দেশের মধ্যেই আত্মগোপনে থেকে আত্মরক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ অবতীর্ণ হন সংস্কারপন্থীর ভূমিকায়। আবার কেউ গ্রেফতার হয়ে আপাত বেঁচে যাওয়ার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।

2

মোদ্দাকথা, শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বললেই বিপদ হতে পারে এমন আশঙ্কায় রাজনীতি ও ক্ষমতার পদ-পদবি আঁকড়ে থাকা মানুষগুলো যখন মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন। সব দিকে যখন নীরব-নিথর। প্রতিবাদের পুরুষকণ্ঠ যখন কারাপ্রকোষ্টে। ঠিক তখনই প্রতিবাদী ঝাণ্ডা হাতে চট্টগ্রামের রাজপথে নারীকর্মীদের নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির পক্ষে আওয়াজ তোলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন কমিশনার, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক) অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু।

রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিনের কঠোর পাহারা, নজরদারি তখন। টুঁ-শব্দটি করলেই টুঁটি চেপে ধরার খড়গ। সেই অবস্থাতেই চরম ঝুঁকি নেন রেহানা বেগম রানু। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজন করেন বিশাল মানববন্ধনের। জরুরি অবস্থায় এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা তখনকার প্রেক্ষাপটে ভয়ানক ব্যাপার। এ জন্য গ্রেফতার-নির্যাতনের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠ শুধু নয়, জীবনের মাঠ থেকেও সরিয়ে দেয়ার আশঙ্কা স্বাভাবিক। আর এসব জেনে, মেনেই শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে সেদিন জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিটা নিয়েছিলেন অসীম সাহসী এই নেত্রী।

সেসব দিনের কথা জানতে জাগো নিউজ কথা বলেছে অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানুর সঙ্গে। অস্বাভাবিক সেই সময় নিয়ে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেনাসমর্থিত সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নানাপ্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সেদিন জড়ো হই আমরা পাঁচ শতাধিক নারী। মানববন্ধন যেন পরিণত হয় সমাবেশে। চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা লীগের ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনের আমিই আয়োজক, সংগঠক, সভাপতি, সঞ্চালক। সমবেত অন্যরা সবাই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক।’

‘শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিসম্বলিত বিশাল ব্যানারটি মানববন্ধনের জন্য সবে টাঙানো হয়েছে। মানববন্ধনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করছিলাম। আর তখনই সেনাসমর্থিত সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশবাহিনী লাঠিচার্জ করে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়, পণ্ড করে দেয় মানববন্ধন। এতে আমিসহ কয়েকজন মহিলা লীগকর্মী আহত হন। পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার খবর পরদিন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে গুরুত্ব সহকারে ছাপা হলে শেখ হাসিনার স্থায়ী মুক্তির দাবিতে পরবর্তীতে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে,’- বলেন রানু।

3

শ্বাসরুদ্ধকর দিনগুলোর কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের মানববন্ধন পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর আমার সহকর্মীরা হতাস হয়ে পড়েন। অনেকেই রাস্তায় নামতে চাননি আর। কিন্তু এসবে দমে না গিয়ে এর পরপরই চট্টগ্রাম পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় মানববন্ধনটি আয়োজনে নেমে পড়ি। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতা হিসেবে সেখানেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়। জড়ো হওয়া পুলিশের ভয়ে পেশাজীবী নেতারা অনুষ্ঠান শুরু করতে যখন দ্বিধান্বিত তখন আমি নিজেই ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে যান অন্য নেতারাও। দূর থেকে এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা পুলিশের লোকজন টার্গেট করেন আমাকে। এরপর মারমুখী পুলিশ ব্যানার নিয়ে টানাটানির একপর্যায়ে আমার হাতে সজোরে বসিয়ে দেন লাঠির আঘাত। পণ্ড হয়ে যায় সেই মানববন্ধনও।’

সেদিন এমন ঝুঁকি কেন নিয়েছিলেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রিয়নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যেদিন গ্রেফতার করে টেনেহিঁচড়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই দৃশ্য আমাকে যুগপৎ ব্যথিত করে। সেদিনই আমি মনে মনে পণ করি, যতই ঝড়-তুফান আসুক শেখ হাসিনার পক্ষে চট্টগ্রাম থেকেই আন্দোলন গড়ে তুলব, তাকে মুক্ত করে আনব।’

‘আর এই কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে, পাড়া-মহল্লায় জনমত গঠনে নেমে পড়ি। নেমেই দেখি নেতাকর্মীদের অনেকেই গাছাড়া ভাব। কিছু নেতাকর্মীর মাঝে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে হতাশা। তাদের ধারণা, শেখ হাসিনার দিন বোধহয় শেষ। কাজেই তার জন্য কেঁদে লাভ কী। সেই তাদেরকেই উল্টো আমি হতাশ করে দিতাম। প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতাম, জরুরি অবস্থার কুশীলবদের পতন আসন্ন, শেখ হাসিনার বিজয় অবশ্যাম্ভাবী। আপনারা শেখ হাসিনার পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেন,’- বলেন রেহানা বেগম রানু।

4

অ্যাডভোকেট রানু বলেন, ‘আমি বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করি রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অসহায়ের মতো নির্যাতনে পতিত হলেও কোনো প্রতিরোধ বা প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারেননি। বরং অতি উৎসাহী নেতাদের প্রেসক্রিপশনে চট্টগ্রামেও ক্ষেত্রবিশেষে সংস্কারের ঢেউ ওঠে। সে রকম পরিস্থিতির বিপরীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য চট্টগ্রামের রাজপথে সেদিন আমি মানববন্ধনের আয়োজন করি।’

‘শুধু তাই নয়, সেনাসমর্থিত সরকারের শুরু থেকে পুরোটা সময় জাতীয় শোক দিবস, মুজিবনগর দিবস, জেলহত্যা দিবস, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসসহ চট্টগ্রামে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করি আমি। জরুরি অবস্থার মাঝে এসব করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের অনেক হুমকি-ধমকি, চোখ রাঙানি আমাকে সহ্য করতে হয়েছে। কখনো প্যানেল মেয়রসহ লোভনীয় জায়গায় বসানোর প্রস্তাবও এসেছে উপর থেকে। কিন্তু বরাবরই আমি বলেছি, নেত্রীকে জেলে রেখে, বঙ্গবন্ধুর গড়া আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের চেষ্টায় সমর্থন জুগিয়ে কোনো পদ-পদবি কিংবা চেয়ার আমার প্রয়োজন নেই,’- যোগ করেন এই নারী নেত্রী।

সেই প্রতিবাদ সংগ্রামের পেছনের কথা জানাতে গিয়ে রেহানা বেগম রানু বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রতিবাদ গড়ে তোলার সময় দলের কোনো বড় নেতা কিংবা নেত্রী নয়, তৃণমূলের নারীকর্মীদেরই আমি কাছে পেয়েছি, পাশে পেয়েছি। পাড়া-মহল্লা ও বস্তিতে বস্তিতে গিয়ে এসব কর্মীদের আমি প্রতিবাদের জন্য সংগঠিত করেছি।’

5

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে তার গ্রেফতারের পরপরই স্বেচ্ছায় কারাবরণের কর্মসূচিও আমি গ্রহণ করেছিলাম। আমার সঙ্গে সে সময় স্বেচ্ছায় কারাবরণে রাজি হয়েছিলেন যে পাঁচজন নারী তারা হলেন মমতাজ বেগ, আলেয়া নূর, বানু আরা বেগম, শাহীন আকতার ও রাজিয়া বেগম। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এই কারাবরণের ঘোষণা দেয়ার জন্য দিনক্ষণও ঠিক করি। ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিই। তখনই ফোনে কথা হয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরার সঙ্গে। রাজনীতির সেই ‘কালো’ সময়ে ইন্দিরা আপার সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে তখন প্রায় আমার শেয়ার হতো। এই বিষয়টি টেলিফোনে শেয়ার করতে গেলে তিনিই আমাকে এতটা ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করেন। মূলত তার অনুমতি না পাওয়ায় প্রস্তুতি নিয়েও পরবর্তীতে কারাবরণের কর্মসূচি থেকে ফিরে আসি।’

সেনাসমর্থিত সরকারের সামনে নতজানু সিভিল সোসাইটির বিপরীতে দাঁড়ানোর গল্প বলতে গিয়ে রেহানা বেগম রানু বলেন, ‘জরুরি অবস্থার সময় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পেশাজীবী, সরকারি কর্মকতাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা। বেশিরভাগ উপস্থিতি সেই অনুষ্ঠানে জরুরি অবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তৃতা করেন। আমার এক সহকর্মী নারী কমিশনার সেনাসমর্থিত সরকারের অকুণ্ঠ প্রশংসা করতে গিয়ে একপর্যায়ে বলে ফেলেন রাজনীতির আবর্জনা পরিস্কার করতে জরুরি অবস্থার বিকল্প নেই!’

আর আমি বলেছি, ‘এই সরকারের অপশাসনে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষ আজ বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কোনো জরুরি অবস্থা কিংবা সেনাশাসনের মধ্যদিয়ে নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর তর্জনির ইশারায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, দেশের কৃষকশ্রমিক, আবালবৃদ্ধ জনতা সবাই মিলে এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আমার মায়ের ভাষা পেয়েছি তাও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে। সেটাও জরুরি অবস্থা দিয়ে নয়।’

‘আপনারা বলছেন রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিবাজ। টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু পাঁচ শতাংশ রাজনীতিবিদ দুর্নীতিবাজ। ঢালাওভাবে রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ বলা যাবে না। যে পাঁচ শতাংশের কথা বলা হয়েছে তারা রাজনীতির মাঠ থেকে উঠা আসা ত্যাগী নেতাকর্মী নয়। সেনাবাহিনী, রাজনীতিবিদ, আমলা সবাই এদেশের সন্তান। সবাই মিলে দেশাত্মবোধ, দেশপ্রেম নিয়ে আসুন আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটি। আর সে পথে হাঁটতে হলে রাজনীতিবিদের হাতেই রাজনীতি থাকতে হবে,’- যুক্ত করেন রানু।

রানু বলেন, ‘সেদিনের অনুষ্ঠান শেষ করে বেরোনোর পর মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে বুঝতে পারি আমার কথাগুলোই ছিল তাদের মনের কথা। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মান্নানসহ (সাবেক মন্ত্রী) অনেকেই এ নিয়ে আমাকে অভিনন্দিত করলেও আয়োজকরা আমার এই বক্তব্য ভালোভাবে নিতে পারেনি। সে কারণে যে কোনো ধরনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করে শুভার্থীরা সেদিন আমাকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। উত্তরে তাদের বলেছিলাম, আমি যা বিশ্বাস করি, লালন করি তাই বলবো। এজন্য আমার যা হবার তাই হবে।’

সেই আঁধার কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রক্ষতায় বিষয়টাকে আপনি কীভাবে দেখছেন? জাগো নিউজের এমন প্রশ্নের উত্তরে অ্যাডভোকেট রানু বলেন, ‘আমি তৃণমূলের একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক কর্মী। কমিটমেন্ট থেকেই রাজনীতিতে এসেছি। আমি মনে করি, দেশের সামগ্রিক মুক্তির জন্য একটা বড় সময় ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার বিকল্প নেই। প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনা টানা ১০ বছর সেই রাষ্ট্রক্ষমতায়। আমার মতো তৃণমূলের একজন দায়িত্বশীল কর্মীর কাছে এর চেয়ে বড় স্বস্তি, বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে।’

আবু আজাদ/বিএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।