নির্বাচন বর্জন ইস্যুতে বিএনপিতে দ্বিমত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৩ এএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৯

জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের বৈঠকে প্রায় অর্ধেকই অনুপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে এ বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন ইস্যু নিয়ে বিএনপি নেতারা বিতর্কে জড়ান। তবে দলের সিনিয়র নেতারা বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনার ওপর গুরুত্ব দেন।

জানা গেছে, বৈঠকে নির্বাচন বর্জন ইস্যুতে কয়েকজন নেতা নির্বাচন পরিচানা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলামের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর এবং মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দু’জনই নির্বাচন বর্জনের পক্ষে অবস্থান নেন। ভোলার আরেক প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলমও নির্বাচন বর্জনের পক্ষে ছিলেন। তারা ছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন না করায় বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনাকারী কমিটির প্রধানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এছাড়া নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা, প্রচারণা ক্ষেত্রে অনিয়ম, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের আচরণে নিরপেক্ষতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে নির্বাচন বর্জনের কথা জানান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তবে কিশোরগঞ্জের মো. শরিফুল আলম এবং সিরাজগঞ্জের রুমানা মোরশেদ কনকচাঁপার অবস্থান ছিল নির্বাচন বর্জনের বিপক্ষে।

শরিফুল আলম বলেন, কয়েকজন নির্বাচন বর্জনের কথা বলেছেন শুনেছি। তবে আমি মনে করি এ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত না থাকলে এটা প্রমাণ হতো না যে, দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, যেহেতু বৈঠকটি ছিল ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের, সেহেতু ইস্যুটা দলীয় ফোরামে তুলে ধরার কথা বলেছেন মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বিএনপি প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করবে। আমাদের ভুলভ্রান্তি থাকলে সেখানেই আলোচনা হবে।

শরিফুল আলম আরও বলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামালা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি -এসব ইস্যু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে। এছাড়াও সিনিয়র নেতারা প্রত্যেক আসনের ক্ষতিগ্রস্থ নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। আমাদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড যে কমিটিও পাশে থাকবেন।

কেএইচ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।