নৌকার মাঝিমাল্লারা খোশ মেজাজে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

বেলা পৌনে ২টা। রাজধানীর কামরাঙ্গীচর আশরাফাবাদের একটি কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় ঢাকা-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সমর্থক নেতাকর্মীরা লম্বা বেঞ্চে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

রাস্তার পাশের মায়ের দোয়া নামক একটি বিরিয়ানির দোকানের কর্মচারীরা প্যাকেট করার কাজে ব্যস্ত। বেঞ্চে বসে থাকা একজন উচ্চকণ্ঠে হাক ছেঁড়ে বললেন, ফজলু, আমাগো পোলাপানের লাইগ্যা তাড়াতাড়ি ২০ প্যাকেট বিরিয়ানি পাঠা। দোকানিও গলা ছেড়ে জবাব দিলেন, ‘জি, ভাই, এক্ষুণি পাঠাইয়া দিতাছি।’

বেঞ্চে বসে থাকা একজন নেতা গোছের ব্যক্তির সঙ্গে ১৪-১৫ বছরের কয়েক তরুণ মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বিভিন্ন পোজে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো। উপস্থিত সবাই অনেকটা নির্ভার ও চিন্তামুক্ত দেখা যায়।

কেরানীগঞ্জের একাংশ, আমিনবাজার, তেতুলঝড়া ও ভাকুর্তা ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৫ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা-২ আসন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বিএনপি থেকে লড়ছেন আমানউল্লাহ আমানের ছেলে ইরফান ইবনে আমান অমি।

Voter

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে অধিকাংশ কেন্দ্রেই অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নায়ক বিএনপি নেতা আমান উল্ল্যাহ আমানের ছেলে ইরফান ইবনে আমান অমির এজেন্টদের দেখা যায়নি।

সরেজমিন রাজধানীর ঢাকা-১০, ঢাকা-৭ ও ঢাকা -২ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনকালে দুপুরের পর থেকেই সরকার দলীয় নেতাকর্মীদেরকে খোশ মেজাজে কেন্দ্রের ভেতরে বাইরে অবস্থান করতে দেখা যায়। অধিকাংশ কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট না থাকায় কোনো প্রকার বাধা বিঘ্ন ছাড়াই তারা ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছেন। পরিচিত ভোটারদের বাসা থেকে ডেকে এনে ভোট দেওয়াচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, যেভাবে ভোটাররা ভোট দিতে এসেছেন তাতে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। এ কারণে তারা বেশ উৎফুল্ল ও রিলাক্স মুডে আছেন।

Voter

দুপুরে কামরাঙ্গীরচরের একাধিক কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এসেও অনেকে তালিকায় নাম খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী নারী ও পুরুষের অনেকেই দুই তিন ঘণ্টা ঘুরেও ভোট দিতে পারেননি।

রাজধানীর আমলিগোলার বাসিন্দা হাসিনা বেগম মেয়েকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট দিতে আসেন। তিনি জানান, সকাল থেকে তিনটি কেন্দ্রে ঘুরেছেন। কোথাও নিজের নাম পাননি। তাই ভোট না দিয়েই চলে যাচ্ছেন।

তার পাশে আরেক মহিলা বলেন, ‘আমরা ভোট না দিলেও নৌকা-ই পাশ করবো।’

এমইউ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।