ঢাকা-১৫ : তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়েও ভোট দিতে পারেননি ভোটাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

ঢাকা-১৫ আসনের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইনে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়েও ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি অধিকাংশ ভোটার। সকাল থেকেই এই অবস্থা চলছে বলে অভিযোগ খোদ ভোটারদের। ভোট দিতে না পারার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোট কেন্দ্রটির তিন গেইটেই ধানের শীষ ও নৌকার পোলিং এজেন্টরা অবস্থান করায় এমন জটিলতা তৈরি হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইটে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের কর্মী সমর্থকরা। সেখানে পুলিশও গেইট বন্ধ করে দিয়ে অবস্থান করছে। অন্যদিকে পেছনের দুই গেইটেই অবস্থা নিয়েছে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী জামায়াতের সেক্রোটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা। শেওড়াপাড়া ফুটওভারব্রিজ সংলগ্ন ভোট কেন্দ্রটিতে ঢুকতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন গিয়ে ঠেকেছে মিরপুর-১০ গোলচত্বর অবধি।

শামসুল ইসলাম নামে এক ভোটার বলেন, ‘দেড় মিনেটের পথ পেরিয়ে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত আসতে পারিনি সাড়ে তিন ঘণ্টা পার হলো। ভোট দেয়া হবে কিনা বুঝতেছি না। ভেতরে কী হচ্ছে তাও তো বুঝতেছি না। সাইট দিয়া লোক যায় ভোট দেয়, আর আমরা ভোট দিতে পারতেছি না!’

Dhaka-Voter

অন্যদিকে আরেক ভোটার বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রের ভেতর তো খালি কিন্তু গ্যাঞ্জাম তো বাইরে। পুলিশও ঠেকাতে পারছে না।’

শরিফুল ইসলাম নামের ভোটার বলেন, ‘কাজী পাড়ায় দাঁড়াইছি। সাড়ে ৯টায় দাঁড়িয়ে মাত্র কেন্দ্রের মুখে আসছি। দুপুর ১টা বাজলেও ভেতরে যেতে পারিনি। গেইট তো দেখতেছি বন্ধ। ঢুকতে দিচ্ছে না। ভেতরে ফাঁকা বাইরে লোক ভর্তি!’

গণমাধ্যম কর্মী, পর্যবেক্ষকদের ঢুকতে দেয়া হয়নি ভোটকেন্দ্রটির ভেতরে। যে কারণে ভেতরের অবস্থা ও প্রিসাইডিং অফিসার, প্রার্থীদের এজেন্টদের সাথে কথা বলা কিংবা সার্বিক অবস্থা বোঝার সুযোগই হয়নি।

দৈনিক প্রথম ভোর পত্রিকার সাংবাদিক মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রের অবস্থা দেখতে এসে ঢুকতেই পারিনি। ভেতরে প্রচুর চাপের কথা বলে পুলিশ গেইট বন্ধ রেখেছে। তবে ভোটাররা বলছেন বাইরে ভিড় ভেতরে ফাঁকা।’

জেইউ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।