‘সরকার ভীত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

সরকার 'ভীত' বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার যদি মনে করত তারা জিতবে, তাহলে তো দুই নাম্বারি, তিন নাম্বারি করত না। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করত না। সরকার কতটা নার্ভাস হলে এটা করে। এতেই বোঝা যায় সরকার কতটা ভীত।’

ড. কামাল বলেন, ‘দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। ৩০ তারিখ ভোটের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে পরিবর্তন চায়। ১৬ ডিসেম্বর যেমন বিজয়ের দিন, ৩০ ডিসেম্বর হবে আরেক বিজয় দিবস।’

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ড. কামাল সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করেন আপনারা পরিবর্তন চান কি-না। এ সময় সাংবাদিকরা কোনো শব্দ না করলেও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরাই ‘চাই, চাই’ বলে চিৎকার করেন।

এরপর বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিবর্তনের পক্ষে দেশের মানুষের সাড়া পড়েছে। এ নির্বাচন শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের নির্বাচন।

বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে ড. কামাল বলেন, উন্নয়নের কথা আর কত শুনব। উন্নয়নের মধ্যে গণতন্ত্র না থাকলে তা অর্থপূর্ণ হয় না। উন্নয়নের কোনো অর্থই থাকে না, যদি মানুষের অধিকার না থাকে। গণতন্ত্রকে বাইরে রেখে উন্নয়নের কথা বলে স্বৈরশাসকরা। সরকার প্রবৃদ্ধির কথা বলে। অথচ আইয়ুব খানের সময়ে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার ছিল। তবুও আমরা ছয় দফা থেকে পিছিয়ে যায়নি। আমরাও সরকারের উন্নয়নের কথায় ভোটের অধিকার থেকে সরব না।

সরকার দেশের অর্থনীতিকে নষ্ট করছে দাবি করে ড. কামাল বলেন, ‘আল্লার কসম তারা এত অনুমোদন দিয়ে ব্যাংকগুলোকে নষ্ট করছে। এগুলো কৃষি উন্নয়ন বলছে এ উন্নয়ন দেশের মানুষ একাত্তরে প্রত্যাখ্যান করেছিল।’

তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে দলীয়করণ করবে না, দলীয়করণ থেকে মুক্ত হতেই আমরা এক হয়েছি। দলীয়করণ মানে জমিদারি, ভোট দিয়ে এ থেকে মুক্ত হব। ধানের শীষে ভোট দিলে এ থেকে মুক্ত হবেন। ধানের শীষ দলের নয়, সবার ঐক্যের প্রতীক।

প্রশাসনকে কোনো দলের স্বার্থে না, জনগণের স্বার্থে প্রশাসনকে কাজ করার আহ্বান জানান ড. কামাল।

এআর/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।