৫৭ ধারা বাতিলের দাবি গণজাগরণ মঞ্চের


প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৫
ফাইল ছবি

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ অবিলম্বে এ আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মূখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। শুক্রবার বিকেলে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত ৫৭ ধারা বাতিল ও প্রবীর সিকদারের মামলা প্রত্যাহার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।

ইমরান বলেন, যেখানে গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে সারাবিশ্বে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়, যেখানে জনগণের পক্ষে আইন করা হয়, সেখানে আমরা আজকে দেখছি ৫৭ ধারার মতো গণবিরোধী আইন; যা আজকে মানুষের বাকস্বাধীনতাকে সীমিত করে দেয়। এ রকম একটি আইন বাংলাদেশে বহাল রাখা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এমন একটি আইন ছিল (৬৬/ক) যেটি বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী বলে ভারতের সুপ্রীমকোর্ট বাতিল করেছে। আমাদের আজকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্যে জনগণের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো না-কি সমালোচনাকারীদের দমন করার জন্যে কালো আইন করবো?

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে আইনটি করার পর থেকে আমরা এই আইনকে কালো আইন হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম- এই ৫৭ ধারা মানুষের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করবে। আমাদের কথায় সায় না দিয়ে এই কালো আইন বহাল রাখা হয়েছে। এই আইন বাতিল করতে হবে, অন্যথায় দেখা যাবে সাধারণ মানুষকে এই আইনের আওতায় এনে হয়রানি করা হচ্ছে।

সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রবীর সিকদারকে জামিন দেয়া হয়েছে কিন্তু মামলাটি এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। যদি মামলাটি প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে যখনি মানুষের প্রতিবাদ ক্ষীণ হয়ে আসবে আবারো এই মামলাটিকে চাঙ্গা করে প্রবীর সিকদারকে হয়রানি করার সম্ভাবণা থেকে যাবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি এই মামলাটিকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। প্রত্যাহার করে নিশ্চিত করতে হবে প্রবীর সিকদারের নিরাপত্তা, যাতে যাদের চক্ষুশুল হওয়ার কারণে প্রবীর সিকদারকে হয়রানি হতে হলো তারা যেন ভবিষ্যতে কোনভাবে তার জীবনের হুমকি হয়ে দাঁড়াতে না পারে। সে বিষয়টি রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

এমএইচ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।