সেনা মোতায়েন নিয়ে রিজভীর সংশয়
নির্বাচনের আগে সেনা মোতায়েন হবে কি-না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ন্যুনতম নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চাইলে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে আজই মাঠে নামাতে হবে।’
বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাহিনীকে ৬৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, আনসারকে ১৬৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, কোষ্টগার্ডকে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বিজিবিকে ৩৩ কোটি ২ লাখ এবং র্যাবকে ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা অগ্রিম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গুঞ্জন আছে-সেনাবাহিনীর নামে কোনো বরাদ্দ না দিয়ে তাদেরকে ব্যারাকেই রাখা হবে। এটি একটি অশুভ মহাপরিকল্পনার নির্বাচন করারই পূর্বলক্ষণ।’
‘নির্বাচনী মাঠে বিএনপিকে প্রার্থী শূন্য করার প্রক্রিয়ায় সরকারের বড় ম্যাকানিজম আছে’ -এমন অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের কারসাজিতে বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকার সারাদেশে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে পুলিশকে দিয়ে নির্বাচনে কারচুপির নীল-নকশা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদর দফতরে দিনরাত দফায় দফায় বৈঠক চলছে। আমাদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর আছে, নৌকার বিজয় ছিনিয়ে দিতে পারলে পুলিশের এসি, এডিসি, ওসিদের প্রমোশন এবং নগদ অর্থের প্রলোভন দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নির্দেশনা কার্যকরের তদারকী করার জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। নির্বাচনকে কীভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেয়া যায়, কীভাবে কারচুপি করা যাবে-সে বিষয়ে নীল নকশার সাধারণ সূত্র উদ্ভাবন করে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ ও র্যাবের কাছে পাঠানো হয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ছাত্রলীগের বাছাই করা ১০ হাজারের বেশি ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে-ভোটের সময় ডিবি পুলিশের সঙ্গে কাজ করার জন্য।’
রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে জোরালো দাবি পুলিশ সদর দফতরে বসে যারা কুপরিকল্পনা করছে, তাদেরকে অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এমএমজেড/এমকেএইচ