অন্য রাষ্ট্রের হুমকির জন্য ‘স্পেস’ দেবে না বিএনপি
অন্য রাষ্ট্রের হুমকির জন্য ‘স্পেস’ দেয়া হবে না বলে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে হোটেল লেকশোরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ইশতেহার পাঠ করেন।
ইশতেহারে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়ার কথা উল্লেখ করে বিএনপি বলেছে, অন্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে স্পেস দেয়া হবে না।
ইশতেহারের ‘পররাষ্ট্র’ অংশে বলা হয়-
>> বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে।
>> অন্য কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না এবং অন্য কোনো রাষ্ট্রের জন্য নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন কর্মকাণ্ডকে বিএনপি কোনো স্পেস দিবে না। একইভাবে অন্য কোনো রাষ্ট্রও দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করলে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
>> মুসলিম ও প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করা হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য শক্তিশালী দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ নেয়া হবে।
>> জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থা যেমন- সার্ক, বিমসটেক, বিসিআইএম, বিবিআইএন প্রভৃতি সংস্থাগুলোকে সুসংহত করা এবং কার্যকরভাবে গড়ে তোলার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
>> বিআরআই, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিক ইনসিয়েটিভসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
>> অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধি করা হবে এবং দেশের জনগণের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নেপাল, ভুটানের জনগণের সংযোগ সহজতর করা হবে।
>> আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে বহমান আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আঞ্চলিক ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ ছাড়া ইশতেহারের ‘বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ’ অংশে বলা হয় -
>> বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ, ঝুঁকিমুক্ত অভিবাসন নিশ্চিতকরণ ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রবাসীরা যাতে তাদের কষ্টার্জিত আয় বৈধ পথে দেশে প্রেরণ করতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক এক্সচেঞ্জ হাউস/ব্যাংকের সঙ্গে প্রণোদনা সুবিধাসহ রেমিট্যান্স প্রেরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলো যাতে প্রবাসীদের বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করে তা নিশ্চিত করা হবে।
>> বিদেশফেরত প্রবাসীদের বিমানবন্দরে বিদ্যমান হয়রানি বন্ধ করা হবে। বিদেশ থেকে ফেরত আসা প্রবাসীদের যথাযথ তালিকা প্রস্তুত করে তাদের কল্যাণে নানামুখী প্রকল্প নেয়া হবে।
>> প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশ পরিচালনায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। বিদেশে বিপদগ্রস্ত বা আটকে পড়া নাগরিকদের রক্ষা ও ফিরিয়ে আনতে যথাযথ কনস্যুলার সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
কেএইচ/এমএএস/এএইচ/পিআর