প্রচারণায় সবচেয়ে বড় সমস্যা পুলিশ : ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:২৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

>> সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে লাগানো হচ্ছে
>> নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে চাপ দেয়া হচ্ছে মসজিদের ইমামদের
>> প্রেসগুলোতে বলে দেয়া হয়েছে, ধানের শীষের পোস্টার না ছাপতে
>> মাইক সরবরাহও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে

পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। তারা অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মক আচরণ করছে, যা দেখে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপির প্রতিপক্ষ পুলিশ নিজেই। কিন্তু এমন আচরণ বহির্বিশ্বও দেখছে। এতে করে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, সরকারের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। এ জন্যই এখন পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের ১৪ জন প্রার্থীকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। ভোটের মধ্য দিয়ে জয় লাভে এসব প্রার্থী ও নেতাকর্মীকে মুক্ত করে আনা হবে।

ঐক্যফ্রন্ট মুখপাত্র বলেন, বাধার কারণে নির্বাচনের মাঠে কোনো নেতাকর্মী নামতে পারছেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রেসগুলোতে বলে দেয়া হয়েছে যাতে ধানের শীষের পোস্টার কেউ না ছাপে। মাইক সরবরাহও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবহিত করা হলেও তাদের কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি।

সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে লাগানো হচ্ছে দাবি করে ফখরুল বলেন, মসজিদের ইমামদের ডেকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপাররা নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে চাপ প্রয়োগ করছেন। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই নয়, সরকারি সব শ্রেণির কর্মকর্তাদের কাজে লাগিয়ে নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পর্যন্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নিজ নিজ কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীদের জয়ী করে আনার জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, আনসার ভিডিপির কয়েক হাজার নতুন পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। মূলত ভোটের দিন এসব পোশাক পরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে জাল ভোট দেবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কারখানাতেও শ্রমিকদের জাল ভোট দেয়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ক্ষমতাসীনরা প্রচার করছে তারা হেরে গেলে কয়েক হাজার লাশ পড়বে। এসবই তাদের মনের দুর্বলতা। আমরা একটা কথাই বলতে চাই, আপনারা যা করার করেছেন। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে কাউকে আঘাত করবে না। ঐক্যফ্রন্ট আঘাত করার রাজনীতি করে না।

কেএইচ/জেডএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।