‘সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ দূরভিসন্ধিমূলক’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

ফেনীতে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা দূরভিসন্ধিমূলক বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার রাতে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর রাতে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামে নরসুন্দর বাড়ির (বাবু ডাক্তার বাড়ি) শিশির শীল ও মনিন্দ্র শীলের দুটি টিনের পাকা বসতঘর ও দুটি রান্না ঘর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সম্পূর্ণভাবে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ নম্বর বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারকে (যিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি) আটক করা হয়। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে।’

রিজভী বলেন, ‘স্থানীয় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ভারতীয় হাইকমিশনার ফেনী জেলার এসপিকে টেলিফোনে ঘটনাটি অবহিত করেছেন বলে জানা যায়। আমি শিশির শীল ও মনিন্দ্র শীলের বসতবাটি ভস্মীভূত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এ ঘটনাকে দূরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগ উচিত-অনুচিতের ধার ধারে না। মানুষের জীবন ও নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলে হলেও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে পারে। এ ধরনের ঘটনায় জনমনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, ক্ষমতাসীনরা সোনাগাজী উপজেলার আলামপুর গ্রামের নাপিত বাড়ির অমানবিক ঘটনার ন্যায় দেশব্যাপী আরও ঘটাতে পারে এবং সে দায় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ওপর চাপাতে পারে।’

রিজভী আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বাতাবরণ তৈরি করে তার দায় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ওপর চাপিয়ে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি আদায়ের জন্য সরকারের মিথ্যাচারের প্রচার মেশিনগুলোকে কাজে লাগানো হবে। ক্ষমতাকে আঁকড়ে রাখার জন্য সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সকব সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তরিক প্রীতির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দিতেও সরকার বিন্দুমাত্র দ্বিধা করছে না। এদের আমলেই বৌদ্ধ-হিন্দু-খ্রিস্টান দেবালয়ে আক্রমণ হয়েছে, সহায়-সম্পত্তি লুট হয়েছে, যাজক-পুরোহিত খুন হয়েছে। ইতোপূর্বে সরকারি মদদে এ ধরনের সহিংসতার নজির আমরা দেখেছি। এরা উইপোকার মতো রাষ্ট্র-সমাজের দৃঢ় বন্ধনকে ভিতর থেকে খেয়ে ফেলছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির পক্ষ থেকে ধর্মীয় সম্প্রদায়, জাতিগোষ্ঠী নির্বিশেষে সব বাংলাদেশিকে অন্তর্ঘাত-নাশকতা এবং যেকোনো উস্কানির মুখে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

কেএইচ/এনডিএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।