বিপদে আছে বলেই তারা আক্রমণ করছে : দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিএনপিকে কেন ভয় হয়, বিপদে আছে বলেই তারা আক্রমণ করছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, ব্যাংক ব্যালেন্স টাকা সবই আছে আপনার কাছে আক্রমণ করেন কেন?

শনিবার সন্ধায় মহান বিজয় উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

দুদু বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের বিজয় লাভের মধ্য দিয়ে ৪ জানুয়ারি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। যা সত্য, স্বাভাবিক ও সূর্যের মতো জ্বলজ্বলে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৩০ তারিখ পর্যন্ত লড়াই আমরা অব্যাহত রাখব। লড়াইয়ের ফলাফল আগেই বলে দিই। বিএনপি জয়লাভ করবে। জনতা রাস্তায় নেমে আসবে। তার লক্ষণগুলো কী জানেন? আমাদের কাছে অস্ত্র নাই, বোমা নাই, আমাদের গত ১০ বছরে যেভাবে দমন-পীড়ন করেছেন, এখানে সর্বাধিক মামলার আসামিও আছে।’

মামলার প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন কেউ নাই যার নামে মামলা নাই। তারা বিএনপিকে কেন এতো ভয় পায়? বিএনপি জননন্দিত দল। বিএনপি মানুষের দল, দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসে। তারেক রহমান, শহীদ জিয়াকে ভালোবাসে। এই জন্যই তো তারা (আওয়ামী লীগ) বিপদে আছে। তা জেনেই সরকার আমাদের ওপর আক্রমণ করছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে দুদু বলেন, ‘আপনি প্রধানমন্ত্রী, আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছে। কী নেই আপনার। আমরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি, তারপরও আমাদের ওপর আক্রমণ করছেন। মির্জা আব্বাস যিনি ঢাকার মেয়র ছিলেন, ড. কামাল একটা ভদ্রলোক, বয়স্ক মানুষ, হাঁটা-চলাফেরায় অসুবিধা, তার ওপরও আপনি আক্রমণ করলেন।

তিনি বলেন, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না তাদের ওপর আক্রমণ করলেন। বাংলাদেশে যদি কোনো ভদ্র রাজনীতিবিদ থাকে তিনি হলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঠাকুরগাঁওয়ে তার ওপরও হামলা করলেন। ভয় আমরা না, আপনারা পেয়েছেন। এজন্যই ভোটের আগে যাকে সামনে পাচ্ছেন তার ওপরেই আক্রমণ চালাচ্ছেন।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন- ভাই ৩০ তারিখের পর কী হবে? প্রতিবেশীরা এই প্রশ্ন করেন, টকশোতে গেলে এই প্রশ্ন করেন। তখন বলি ৩০ তারিখ নির্বাচন, বেগম জিয়া ৪ তারিখে শপথ (প্রধানমন্ত্রীর) নেবেন।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমরা একমাসে দুটি বিজয় দিবস পালন করব। একটি ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, অন্যটি ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের বিজয়। ৩০ তারিখ আমাদের ফাইনাল খেলা। বাংলাদেশকে রক্ষা করতে, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে আমাদের জয়ের কোনো বিকল্প নেই। এই দেশের জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছিল, সম্ভ্রম হারিয়েছিল, তাদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে ৩০ তারিখে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে।’

সভায় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাব নেতা এসএম রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন, মো. জসিম ও মাওলানা নেছারুল হক প্রমুখ।

এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।