ঢাকায় উত্তেজনার মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের প্রচারণা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

ঢাকা-১৮ আসনে উত্তেজনাকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরখানের শাহ কবীর মাজার জিয়ারতের পর সেখান থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই শীর্ষ নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

এ সময় ঢাকা-১৮ আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতাদের ভাষ্যমতে, মাজার জিয়ারত শেষে প্রচারপত্র বিতরণ শুরু করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন তারা। ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

তারা জানান, মাজারের পাশে আগে থেকে জড়ো হয়ে ছিলেন সরকার দলীয় স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মাজার জিয়ারতের সময় তারা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মাজারের বিকল্প ফটক দিয়ে বের হয়ে যান আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না ও প্রার্থী শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারা।

Manna

পরে পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়ে উত্তরখান থেকে পাঠিয়ে দেয়।

এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশ্যে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আপনারা লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করুন, নইলে শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে।’

এ সময় আওয়ামী লীগ সারাদেশেই ঐক্যফ্রন্ট এবং ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রচারণায় হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ‘তবু এই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে ঐক্যফ্রন্ট। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়াই করবো। ৩০ ডিসেম্বর ভোর থেকে কেন্দ্র পাহারা দিতে কর্মী এবং ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাই।’

পরে ঢাকা-১৮ আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ও জেএসডি নেতা শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের পক্ষে আজমপুর রেললাইন সংলগ্ন কিছু স্থানে লিফলেট বিলি করা হয়।

এইউএ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।