আগুন সন্ত্রাসীরাই হত্যার রাজনীতিতে নেমেছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আগুন-সন্ত্রাসীরাই হত্যার রাজনীতিতে নেমেছে। তারা অতীতে আগুন-সন্ত্রাস করেছে, এখন তারাই নির্বাচনকে সামনে রেখে হত্যার রাজনীতিতে নেমেছে।’

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ী-পেশাজীবীদের সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিনে দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হত্যার রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না। যারা হত্যার রাজনীতি করে তারা অতীতেও জ্বালাও-পোড়াও করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। নির্বাচন সামনে রেখে তারাই আজ এসব হামলা চালাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ। তারা যেকোনো হামলা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। এসব হামলার ঘটনায় যারাই দায়ী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।’

‘দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণ। জনগণই দেশের সন্ত্রাসীদের রুখে দেবে’- বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচনকেন্দ্রিক বড় ধরনের কোনো নাশতকা বা হামলার আশঙ্কা আছে কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা সদস্য ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। তাদের কাছে কোনো চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ নয়, অতীতেও জঙ্গি-সন্ত্রাস খুব দক্ষতার সঙ্গে নির্মূল করেছে। তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত।‘

প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে গণসংযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণসংযোগ চালাতে গিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা হয়। হামলার সত্যতা নিশ্চিত করলেও কারা হামলা করেছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি স্থানীয় পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান অভিযোগ করেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম দানারহাট এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগে গেলে তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মির্জা ফখরুলের সফরসঙ্গী কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা দু-তিনটা গাড়ি ভাঙচুর হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে কারা গাড়ি ভেঙেছে সেটা তদন্ত-সাপেক্ষে বলা যাবে।

এছাড়া গতকালের নির্বাচনী প্রচারণায় ফরিদপুর ও নোয়াখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন দুজন।

এসব ঘটনার জন্য ‘বিব্রত’ বোধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বুধবার সকালে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ। কিন্তু প্রতিযোগিতা যেন সহিংসায় পরিণত না হয়, সেদিকে আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’

সিইসি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং আমরা বিব্রত। এটা কখনও কাম্য হতে পারে না। একটা মানুষের জীবন সমস্ত নির্বাচনের চেয়ে মূল্যবান। সারাদেশে যে ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে সেটার যে মূল্য, আমরা মনে করি একটা মানুষের জীবনের মূল্য তার চেয়ে বেশি।’

‘সহিংসতার কারণে সেই জীবন চলে গেল, এটা কারও কাম্য হতে পারে না। এ অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।’

এআর/এমএআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।