প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে খালেদার অাইনজীবীরা
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অাপিল করতে গেছেন তার অাইনজীবীরা।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ব্যারিস্টার কাইসার কামালের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার অাইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যান।
এর অাগে গত ২ ডিসেম্বর ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্রই বাতিল ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুটি দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত, সাজা ভোগ বাতিল ও জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এদিকে সারাদেশে অাসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। মনোনয়ন বাতিল হওয়া এসব প্রার্থী, অনুসারী, কর্মীরা প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ভিড় করছেন প্রার্থীরা। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে অাপিল আবেদন নেয়া হচ্ছে। অাজই অাপিলের শেষ দিন।
প্রার্থিতা বাতিল হলে সংক্ষুব্ধরা সোমবার থেকে বুধবার (৩-৫ ডিসেম্বর) মধ্যে ইসিতে অভিযোগ করতে পারবেন। ইসি ৬-৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলগুলোর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এটা করতে হবে ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর কমিশন প্রার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবেন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনই আপিল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সারা দেশে ৩০০ আসনে মোট ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই বাচাইয়ে সারাদেশে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বিএনপির ১৪১ প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের ৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
তফিসল অনুযায়ী, একাদশ সংসদে ভোটগ্রহণ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
এএস/জেইউ/এমবিআর/জেআইএম