মন্ত্রী-এমপিসহ সব নেতা এখন এলাকায়

ফজলুল হক শাওন
ফজলুল হক শাওন ফজলুল হক শাওন , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:২০ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮
এলাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান এমপি হাবিবে মিল্লাত মুন্না। ছবি ফেসবুক থেকে নেয়া

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। আর ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা। এ কারণে মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের সব নেতা এখন ঢাকা ছেড়ে এলাকায় যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী সোমবার আসতে আসতে প্রতীক বরাদ্দ হয়ে যাবে। আর প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীরা চলে যাবেন এলাকায় ভোট চাওয়ার জন্য। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অন্য মন্ত্রীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন। তিনি সব মন্ত্রীকেই এলাকায় যেতে বলেছেন ভোট করার জন্য। তার এই নির্দেশনা পাওয়ার পর অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপি এখন এলাকার দিকে রওনা হয়েছেন।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের বড় একটা অংশ কয়েকদিন আগেই এলাকায় চলে গেছেন। যেহেতু প্রতীক বরাদ্দের পূর্বপর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, তাই নেতারা মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরপরই তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করছেন। ভোটের কাজ করার জন্য বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠন করছেন। যাদের কাজ হবে পাড়া বা মহল্লার ভোটারদের কাছে ভোটপ্রার্থনা করা। এমনকি ওইসব ভোটাররা ভোটের দিন যাতে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন সে পর্যন্ত নজর রাখবেন এই কমিটির নেতারা।

সূত্র আরও জানায়, আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, ভোটারদের কাছে সরকারের ১০ বছরের উন্নয়নের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা। এ ছাড়া আগামীতে সরকারে গেলে আওয়ামী লীগ কী কী করবে তার একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা প্রচারণা চালাবে। মোটকথা ভোটারদের আয়ত্তে আনতে এবং নৌকা মার্কায় ভোটটা নিশ্চিত করা পর্যন্ত কমিটির লোক ভোটারদের সঙ্গে সঙ্গে থাকবেন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সোমবার সরকারি এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বলেন, আজকের সরকারি কর্মসূচিই শেষ কর্মসূচি। এরপর আর সরকারি প্রোগ্রাম করার সুযোগ পাওয়া যাবে না। কারণ প্রতীক বরাদ্দ হলে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে হবে। যার যার এলাকায় নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবে।

সাবেক আইনমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু এক প্রশ্নের জবাবে জাগো নিউজকে বলেন, আমি ইতোমধ্যে আমার নিজ এলাকা কুমিল্লায় চলে এসেছি। এখানে আমার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-৫-এ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। দলীয় নেতাকর্মীদের কথা শুনছি। কোথাও কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করছি ঘরোয়াভাবে।

তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর পুরোদমে মাঠে নামবো।

এফএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।