পার্থ’র ইভিএম চাওয়া বোধগম্য নয় রিজভীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ কেন তার নির্বাচনী আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদের কাছে তা বোধগম্য নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ আসনে ইভিএমের ব্যবহার চেয়ে গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি জোটের শরিক পার্থ। সে বিষয়ে শনিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রিজভী বলেন, ‘২০দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন মহলে ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে। কিন্তু বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ কেন ইভিএম চেয়েছেন তা আমার বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে জানাতে পারবো।’

রিজভী বলেন, ‘বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকার আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় অর্থে বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসিত সাইবার যুদ্ধ শুরু করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধাদান এবং বিএনপি ও দেশের মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তাদের ভয়ঙ্কর প্রোপাগান্ডায় সয়লাব।’

তিনি বলেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি ছড়িয়ে দিচ্ছে বিদ্বেষমূলক নানা সুপার ইমপোজ করা ছবি, টেম্পারড নকল অডিও-ভিডিও। মূলত এইসব নির্জলা মিথ্যাচার, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অশ্লীল রুচিহীন প্রোপাগান্ডা চালিয়ে তাদের দশ বছরের গুম-খুন, অত্যাচার-নিপীড়ন, জেল-জুলুম, সর্বগ্রাসী লুটপাট ও দুঃশাসন থেকে সরকার ভোটারদের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

রিজভী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এই ধরনের গর্হিত অপকর্মে অর্ধ শতাধিক অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করছে। বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। নামে-বেনামে ভুয়া আইডির ফেসবুকে প্রতিদিন হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে প্রমোশন দিয়ে বুস্ট করছে। আওয়ামী লীগের এইসব প্রোপাগান্ডা অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক গ্রুপের মধ্যে রয়েছে-বাংলা ইনসাইডার, বাংলা নিউজ পোস্ট, আমাদের রাজনীতি, চিরায়ত বাংলাদেশ, নিউজ ফর অল, ছবির মতো দেশ, বাংলাদেশি ভাইরাল ভিডিও, চ্য়োরম্যান সাব, গেরিলা ৭১, শোন হে বাঙালি, সাইবার ফোর্স ৭১, রক্ত ঋণ একাত্তর, বঙ্গবন্ধু সাইবার ফোর্স, বঙ্গবন্ধু জিজিটাল ব্রিগেড, আওয়ামী সাইবার ব্রিগেড, আম জনতা, ভোরের পাতা, গুজবে কান দেবেন না, মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রভৃতি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আপনজনদের নামেও সাইবার ওয়েবসাইট খুলে অবান্তর, কাল্পনিক, উদ্ভট অপপ্রচার চালাতে হিসেববিহীন অর্থ ব্যয় করছে আওয়ামী লীগ।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রোপাগান্ডার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হলো আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডি অফিসে স্থাপিত ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন-সিআরআই’। যার চেয়ারম্যান এবং হেড অফ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্রোগ্রামার ট্রাস্টি প্রধানমন্ত্রীর আপনজনরা।’

তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলবো- এই অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন এবং শালীন ও ইতিবাচক রাজনীতি করুন। সত্য দিয়ে সত্যকে মোকাবেলা করুন। আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে এই প্রোপাগান্ডার জবাব দেবে ভোটাররা।’

‘আওয়ামী লীগ পরাজিত হলেও দেশে থাকবো পালিয়ে যাবো না’ -আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর এমন বক্তব্য উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আপনারা পালিয়ে যাবেন কীভাবে কাদের সাহেব, জনগণ তো আপনাদের পালিয়ে যেতে দেবে না। আপনাদের দুঃশাসনের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবেই।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনিপ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর নেতা সাইফুল ইসলাম পটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।