সরকারি চিঠিতে দলীয় স্লোগান ব্যবহারের অভিযোগ ঐক্যফ্রন্টের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

সরকারি চিঠিতে দলীয় স্লোগান ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনের সময়ে সরকারি চিঠি থেকে ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ -এ লেখা বাদ দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সোমবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে পৌঁছে দিয়েছেন।

চিঠি দেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন চিঠিপত্রে একটি কমন স্লোগান রাখা হচ্ছে। আগে যেমন পরিবার পরিল্পনার বিষয়ে একটি কমন স্লোগান থাকতো ‘ছেলে হোক, মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট’। বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্যাডের উপর স্লোগানগুলো মধ্যে হলো ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’। সরকারি দফতর থেকে যে চিঠিগুলো দেয়া হয় সেখানেও এ স্লোগান সম্বলিত সিল মারা হচ্ছে। আবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সরকারি প্যাডের উপর এ স্লোগানটি টাইপ করা আছে। নির্বাচনের এ সময়ে আমরা এগুলোকে পরিহার করতে বলেছি।

তিনি বলেন, পুলিশ এখনও প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা কী করে, তাদের ছেলে-মেয়েরা কী করে, আত্মীয়রা কী করে তার খোঁজ নিচ্ছে। এতে তারা বিব্রত হচ্ছে, ভয়ও পাচ্ছে। অনেকে এ দায়িত্ব থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দিতে বলছেন।

বিজন কান্তি সরকার বলেন, আমাদের মনে হয় তারা (ইসি) তালিকাটি চূড়ান্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। পুলিশ এ তালিকা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সরকারের হয়ে পক্ষপাতমূলক কাজ করছে। ফলে আমরা চাই এ তালিকা যেন পুনর্নির্ধারণ করে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের এ দায়িত্ব দেয়া হোক এবং আগামী ১০ তারিখের আগে যে এ তালিকা চূড়ান্ত না করা হয়। তালিকা চূড়ান্ত করার পর যে তা প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেন।

এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) ফান্ড থেকে গরিবদের মাঝে কম্বল বিতরণের চেষ্টা করা হয়। এখন এ কম্বলগুলো এমপিদের মাধ্যমে বিতরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গরীব মানুষেরা কম্বল না পাক এটা আমরা চাই না। তবে আমরা চাই এমপিরা বিতরণ না করে এগুলো ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিতরণ করুক এবং স্থানীয় নেতারাও যেন এতে সম্পৃক্ত না থাকেন।

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই কোনোভাবেই যেন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না হয়। এটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হলেও আমরা চাইব নির্বাচন কমিশন যেন এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর, মনোনয়ন বাছাই ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করতে পারবেন।

এইচএস/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।