মহাজোট শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৮
ছবি-ফাইল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মহাজোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন শরিক দলের নেতাদের দফায় দফায় বৈঠক করছেন তিনি।

প্রথমে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জাতীয় সমাজতান্দ্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।

এরপর বৈঠক করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকে বসেন ওবায়দুল কাদের। জাতীয় পার্টির পক্ষে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল অামিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, জিয়াউদ্দিন বাবলু, মশিউর রহমান রাঙ্গা, মজিবুল হক চুন্নু ও সুনীল শুভ রায়।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরিকদের জন্য ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। দলীয় মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের একাধিক বৈঠকে এ বিষয় স্থির করেছে দলটি। জোট শরিকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকায় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে দেরি হচ্ছে।

সূত্র জানায়, শরিক দলগুলোর বাড়তি চাহিদার ব্যাপারেও ভেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য রয়েছেন ৩৫ জন। নির্বাচনে ৩৫ আসনের বাইরে অতিরিক্ত সর্বোচ্চ পাঁচটি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে জাতীয় পার্টিকে। পরিবর্তন আসতে পারে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্যদের এলাকার ক্ষেত্রেও। যদিও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ৭৬টি আসন দাবি করেছে বলে জানা গেছে। ঢাকা-১৭, ফেনী-৩, গাইবান্ধা-৩ ও লালমনিরহাট-৩ এই আসনগুলোতে অতিরিক্ত হিসেবে জাতীয় পার্টিকে দেয়া হতে পারে।

অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টকে সর্বোচ্চ পাঁচটি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে। যদিও যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে ৩৮টি আসনের তালিকা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের হিসাব অনুযায়ী, মুন্সীগঞ্জ-১ ও ৩, নোয়াখালী-৪ অথবা লক্ষ্মীপুর-৪, সিলেট-৬ এ সকল আসনগুলোতে নিয়ে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে হতে পারে মহাজোটের হিসাব-নিকাশ।

মহাজোটের সঙ্গে থাকা জাকের পার্টিকেও একটি আসন ছেড়ে দেয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী ও প্রবীণ নেতার কপাল পুড়তে পারে। ইসলামী ঐক্যজোটের জন্যও একটি আসন ছাড়া হতে পারে। যিনি মনোনয়ন পেতে পারেন তিনি চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রয়াত এক নেতার ছেলে। ওই আসনটিতে বর্তমানে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রয়েছে।

এদিকে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে সর্বশেষ ১০টি আসন দাবি করা হলেও তাদের ছয়টি আসন ছেড়ে দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। যে সব আসনে ইতোমধ্যে তাদের সংসদ রয়েছে সেই আসনগুলোই তাদের ছাড় দিতে চায় আওয়ামী লীগ।

পুনঃতফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর।

এইউএ/এমবিআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।