প্রয়োজনে লড়াই করে ভোট দিতে হবে
ভোটাধিকার ফিরে পেতে প্রয়োজনে লড়াই করে ভোট দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, যদি নিজের ভোট দিতে বাধা আসে তবে প্রতিহত করে ভোটাধিকারা প্রয়োগ করতে হবে।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম।
মওদুদ বলেন, আমাদের ৭ দফা দাবির একটিও মানেনি এই সরকার। কিন্তু তারপরও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে যখন আমরা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিই তখন থেকেই এই সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ভয় পেয়েছে। আজকে পরাজয়ের ভয় মনের মধ্যে ঢুকে গেছে তাদের। দেশের মানুষ এবার যদি মুক্তভাবে ভোট দিতে না পারে, মানুষ তাদের মনের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটাতে না পারে তাহলে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা যখন আমরা দিলাম তখন তাদেরই বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, একটা রিপোর্টও বলেনি যে তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচনে জয়লাভ করবে। এজন্য তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে। আমাদের ওপর এত নির্যাতন, নেত্রী জেলখানায়, হাজার হাজার নেতা-কর্মী মামলায় জর্জরিত। কিন্তু তারপরও একটু আলোর রশ্মি আছে। সেটা হলো ধানের শীষের জোয়ার। এই জোয়ার যেদিন আসবে সেদিন তাদের সমস্ত পরিকল্পনা, সমস্ত নীল নকশা ভেঙে খান খান হয়ে যাবে।
এত কিছু করার পরও এমনও হতে পারে যে তারা নিজেরাই (আওয়ামী লীগ) নির্বাচন থেকে সরে চলে যাবে। যখন তারা দেখবে পরাজয় নিশ্চিত। এই পরাজয় বরণ করার চেয়ে চলে যাওয়াটাই ভালো। এ রকম অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ভোটারদের, মহিলা ও পুরুষদের বোঝাতে হবে যে এবার আপনাদের শেষ চান্স আর আপনারা সুযোগ পাবেন না। দরকার হলে আপনাদেরকে লড়াই করে ভোট দিতে হবে। অর্থাৎ আপনাদেরকে যারা বাধা দিবে তাদের প্রতিহত করে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে।
এ ছাড়া অন্যকোন বিকল্প থাকবে না। এভাবে যদি ধানের শীষের পক্ষের ভোটাররা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ভোট কেন্দ্রে যায় এবং লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকে, যে আমাকে বাধা দেবে তাকেও আমি বাধা দেব।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, আতাউর রহমান ঢালি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহম্মাদ রহমতুল্লাহ, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ।
এএস/এমআরএম/পিআর