কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন ইসি সচিব : বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৮

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ডেকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেখিয়ে ভয়ভীতির অভিযোগ করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার এ দাবি সংক্রান্ত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছেই দেয় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বিএনপির মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে পুলিশের শীর্ষ ৭০ এবং জনপ্রশাসনের ২২ জন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। তাদের একটি তালিকাও দেয়া হয়। ওই তালিকার নামের পাশে উল্লেখ করা হয়, কেন জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার চায় বিএনপি। তবে পুলিশের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের কারণ জানানো হয়নি।

জনপ্রশাসের ২২ জন কর্মকর্তার প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ করার পাশাপাশি প্রথমেই ইসি সচিবের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

নির্বাচন কমিশন সচিবের পদত্যাগ বা প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে চিঠিতে দাবি করা হয়, বিতর্কিত ও অতিমাত্রায় প্রচারমুখী। বিসিএস ৮২ বিশেষ ব্যাচের এবং ৮৪ পদের শতাধিক কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে তাকে সচিব পদে পদায়ন করা হয়। তিনি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মহীউদ্দীনের একান্ত সচিব ছিলেন। মহীউদ্দীনের ছেলে ব্যারিস্টার নওফেল এখন আওয়ামী লীগের নেতা। যিনি এখন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে কমিশনে নিয়মিত যাতায়াত করেন। সচিবের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ।

এর আগেও মঙ্গলবার বিএনপি ইসি সচিবের বিচার ও পদত্যাগ চেয়েছিল। বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় তাদের বিচার চাওয়া হয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত ইসির চিঠি দেয়ার পরদিনই পল্টনে সংঘর্ষ হয়।

শাস্তি ও বদলি সম্পর্কিত বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যে সিদ্ধান্তগুলো হয়, ওই সিদ্ধান্তের মুখপাত্র হিসেবে ও সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য ইসি সচিব কাজ করে থাকে। এখানে নির্বাচন কমিশন সচিবের আলাদা কোনো সত্তা নেই।’

সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব সচিবের। এজন্য ইতোমধ্যে যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে, সেগুলো কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত।’

প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর।

এইচএস/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।