শেষ দিনের সাক্ষাৎকারেও তারেক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের শেষ দিনের সাক্ষাতকার গ্রহণ চলছে। ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং বিএনপির ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগের ৯৪টি সংসদীয় আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে আগ্রহী প্রায় ১ হাজার ২০০ সম্ভাব্য প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেয়া হচ্ছে।

সকাল ১০টা থেকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎকার শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা।

গত ১৮ তারিখ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৩০০ আসনে প্রায় দুই হাজারের মতো মনোনয়নপ্রত্যাশীর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে।

দলের হাইকমান্ডের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গুলশান কার্যালয়ের আশপাশে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সমর্থকদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। চার স্তরের পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে তারা গুলশানে উপস্থিত হয়েছেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাক্ষাৎকার দিয়ে বের হয়ে ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন’ বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, সবাই তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। গণতন্ত্রের মুক্তি ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’

মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৪ হাজার লোকের মধ্য থেকে ৩০০ জনকে বেছে নেয়ার কঠিন কাজটা এখন চলছে। যারা মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের প্রত্যেকের কথাই গুরুত্বের সঙ্গে শোনা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সবাই তো মনোনয়ন পাবেন না। তাই সবাইকে একটি মেসেজ-ই দেয়া হচ্ছে-মনোনয়ন না পেলে যেন কেউ দল থেকে দূরে সরে না যায়। আমি নিজেও মুন্সিগঞ্জ-২ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। আশা করি দল আমাকে মনোনীত করবে। যদি না করে, যাকেই ধানের শীষের প্রতীক দেয়া হোক তার পক্ষে কাজ করব।’

ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ’আমার নির্বাচনী আসন থেকে তো অনেকেই মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। এখন দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের বিষয়টি যদি বিবেচনায় আসে, তাহলে আমি মনোনয়ন পাব বলে আমার বিশ্বাস।’

কেএইচ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।