ভাইয়ের জন্য ক্ষমা চাইলেন কাদের সিদ্দিকী


প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, ১১ অক্টোবর ২০১৪

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তার ছোট ভাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।বড় ভাইয়ের জন্য ক্ষমা চাইলেন কাদের সিদ্দিকী।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বড় ভাইয়ের জন্য আল্লাহ ও দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চান।

তিনি বলেন, `জীবনে বহু কষ্ট পেয়েছি কিন্তু কখনও আল্লাহর প্রতি ইমান হারায়নি। কিন্তু আমার বড় ভাই তা করেছেন। আমার বড় ভাইয়ের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমার ভাই এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন, ধর্মপ্রাণ মুসনমানরা এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে। আমার বড় ভাই এ বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন কিনা জানি না। তবে আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।`

তিনি বলেন, `আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আমার কেউ না, কিন্তু আল্লাহর প্রদত্ত হিসেবে তিনি আমার বড়ভাই। এ সম্পর্ক কেনা যায় না। আমাদের ধমনিতে একই রক্ত প্রবাহিত। জীবনে বহু কষ্ট করেছি, বহুবার বিপদে পড়েছি কিন্তু আল্লাহর উপর থেকে আস্থা হারাইনি। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি আমার বড়ভাইকে হেদায়েত করুন।`

তিনি বলেন, `আমার বড় ভাই পবিত্র হজ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তাতে আল্লাহ ক্ষমা করবেন কি-না আমি জানি না। তবে পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন তাকে ক্ষমা করেন।`

গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে স্থানীয় টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, `আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী।` তার মতে, এতে শ্রমশক্তির অপচয় হয়, উৎপাদনে প্রভাব পড়ে।

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় ও টক শোর আলোচকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। লতিফ সিদ্দিকীর ওই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার নিজ দল আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে দেশেবিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।