সংলাপে যাওয়ার বিষয়ে ‘এখনই’ জানাতে পারলেন না ফখরুল
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একই সঙ্গে সংলাপে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মহাসচিব।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়াকে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন বলে মনে করছেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একদিকে খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির রায় অন্যদিকে সংলাপের আহ্বান। এর থেকে বোঝা যাবে এ সংলাপ কতটুকু আন্তরিক এবং সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে এ সম্পর্কে জনমনে যে জিজ্ঞাসা-প্রশ্ন- সেটা অবশ্যই একটা আশঙ্কা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, এই রায়ে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন। আমরা এ রায় সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি এবং জনগণই বিচার করবে ভবিষ্যতে।’
আপনারা সংলাপে যাচ্ছেন কি-না এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, ‘এখনই বলতে পারছি না, আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’
হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচনের জন্য এক প্রকার অযোগ্য হয়ে গেলেন, এখন আপনাদের অন্যান্য দাবি মানা হলে নির্বাচনে যাবেন কি না- এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’
সংলাপে বিএনপির অবস্থান কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাত দফা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচি বহাল থাকবে। ৩১ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ১ নভেম্বর অনশন, এটার জায়গা পরে জানানো হবে। ২ নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের জনসভা, সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘একটা জিনিস পরিষ্কার যে সরকার কোনো মতেই একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে আগ্রহী নয়। তারা বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়। দেশনেত্রীকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায় এবং রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়। যেটা আমরা বারবার বলে এসেছি। এখানে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয় ব্যক্তিগত প্রতিহিংসাও কাজ করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, মো. শাজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ প্রমুখ।
কেএইচ/এনএফ/পিআর