প্রস্তুতি সম্পন্ন, মহাসমাবেশের ঘোষণা নিয়ে অন্ধকারে নেতারা

আমানউল্লাহ আমান
আমানউল্লাহ আমান আমানউল্লাহ আমান , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৬ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকায় সর্বশেষ মহাসমাবেশ করছে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। মহাসমাবেশকে ঘিরে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসবে। মূলত ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার সক্ষমতাই প্রমাণ করতে চায় দলটি।

নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্থান-সংক্রান্ত ঘোষণা দেবেন দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। এ ঘোষণা ঢাকার মহাসমাবেশ অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মহাজোট অথবা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে ঘোষণার কথা থাকলে এ নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে জাপা নেতাকর্মীরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ সফল করতে দফায় দফায় বর্ধিত সভা করেছে জাতীয় পার্টির নেতারা। সপ্তাহব্যাপী সভা ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ তৈরি থেকে শুরু করে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। লোক সমাগমের বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার।

মহাজোট বা এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা থাকলেও বিকল্প প্রস্তাবের ইঙ্গিতও রয়েছে জাপার কোনো কোনো নেতার কথায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের দুই একজন নেতা এমন আভাস দিয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে, মহাজোট বা এককভাবে নির্বাচন করার কথা থাকলেও এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়া হবে। নির্বাচনে অধিক সংখ্যক আসন পেতে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার একক ক্ষমতা পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে দেয়া হয়েছে। তবে মহাসমাবেশ থেকে যে ঘোষণা আসবে সেটা চূড়ান্ত নাও হতে পারে।

দলের নেতারা জানান, এককভাবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে সম্মিলিত জোট ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ঘোষণা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছেন খোদ দলের নেতারাই।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের সংগঠন, সমর্থক আছে। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার সক্ষমতা রাখি-এটা দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে জানাতে চাই। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীরাও বুঝতে পারবে আমরা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারি।

ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চেয়্যারম্যান কী ঘোষণা দেবেন সেটা উনিই জানেন। এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ মহাসমাবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা লাখো জনতার উপস্থিতিতে প্রমাণ করবো জাতীয় পার্টি এককভাবেই ক্ষমতায় যাওয়ার সামর্থ্য রাখে।’

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘চেয়ারম্যানের ঘোষণা এখনও অস্পষ্ট। চেয়ারম্যান কী ঘোষণা দেবেন সেটা উনি ছাড়া কেউ জানেন না। সারাদেশ থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব এটাই ঠিক আছে। সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা আগামীকাল মহাসমাবেশে যোগ দেবে।

এইউএ/এএইচ/এমএমজেড

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।