আগামী নির্বাচনেই বিএনপি প্রমাণ করবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচেন আমরা প্রমাণ করবো বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করে।’

সরকার নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করছে না- এমন অভিযোগ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে সরকারের বাঁধ ভাঙতে হবে। মাঠে নামতে হবে। আন্দোলন করে সরকারকে বাধ্য করতে হবে সংলাপে আসতে।’

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মওদুদ।

‘নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পূর্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, সংকট সমাধানের একমাত্র পথ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম নামের একটি সংগঠন।

মওদুদ বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকে সরকারকে আমরা বিচলতি দেখতে পাচ্ছি। বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে তারা এটাই প্রমাণ করেছে যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে তারা ভয় পায়। জাতীয় ঐক্যকে ভয় পায়, দেশের মানুষকে ভয় পায়।’

তিনি বলেন, ‘সরকার যখন ঐক্যের সমালোচনা করে তার মানে বুঝতে হবে যে, আমাদের কাজ সঠিক হচ্ছে। কিন্তু দুঃখ লাগে তারা অনেক অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখছে। তাতে আরও প্রমাণ হয় যে, তারা এখন নিশ্চিত হয়ে গেছে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে বর্তমান সরকারের ভরাডুবি হবে। এ কারণে ঐক্যফ্রন্টকে তারা আক্রমণ শুরু করেছে। তাতে কোনো লাভ হবে না।’

মওদুদ বলেন, ‘আজ গ্রামগঞ্জে যদি যান, দেশের মানুষের মুখে একটাই কথা, ঐক্য হয়ে গেছে। ঐক্য হয়ে গেছে মানে, একটা আশার সঞ্চার হয়েছে। একটা আশার আলো তারা দেখতে পাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে এখন। দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে যে, আগামী নির্বাচনে হয়তো তারা নিজের ইচ্ছা মতো ভোট দিতে পারবে এবং যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় বর্তমান মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রীও জয়লাভ করতে পারবে না এবং আপনারা দেখবেন তা-ই হবে। এ ভয়েই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না। আর মাত্র তিন মাসও নাই। কিন্তু সরকারের আচরণ দেখে বোঝা যায়, সরকার কতটুকু ভীত। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে।’

মওদুদ বলেন, ‘গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার ৯০০ মামলা হয়েছে। এগুলো সব ভুতুড়ে মামলা। সব গায়েবি মামলা, সাড়ে তিন লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। সরকার চায় না দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং সম্প্রচার আইনের জন্য সরকারের সমালোচনা করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সম্প্রচার আইন- দুটা আইনের মাধ্যমে মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে রাখা হয়েছে, সরকারের যেন সমালোচনা করা না যায়। এটা একটা নিয়ন্ত্রণমূলক আইন।’

মওদুদ বলেন, ‘ঐক্য প্রক্রিয়ায় আঁতে ঘা লেগেছে সরকারের। এটা কী করে সম্ভব হলো। এই ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে সরকারের পরাজয় হবে।’

সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনুমতি দিয়েও তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে এটাই প্রমাণ করে যে, সরকারের জনপ্রিয়তা কত নিচে নেমে গেছে।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

কেএইচ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।