এনডিপি-ন্যাপে বহিষ্কারের হিড়িক, অটুট ২০ দল!
মঙ্গলবার ২০ দলীয় জোট থেকে বের হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) মধ্যে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে।
দলটির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা এবং মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করায় এবং দলের শৃঙ্খলাপরিপন্থী থাকায় প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মুত্তাকিম হোসেনকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। দলের সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’
অন্যদিকে এনডিপির প্রচার সম্পাদক দাবিদার জিয়াউল হকের পক্ষ থেকে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০ দলীয় জোট পরিপন্থী কাজে যুক্ত হওয়ায় দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা এবং মহাসচিবের পদ থেকে মঞ্জুর হোসেন ঈসাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মো. মুত্তাকিম এনডিপির নতুন চেয়ারম্যান এবং ওসমান গণিকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়েছে।’
অপরদিকে এম এন শাওন সাদেকী নিজেকে বাংলাদেশ ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দাবি করে চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি এবং মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়াকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।
নিজের ফেসবুক ওয়ালে শাওন লিখেছেন, ‘প্রিয় দেশবাসী আসসালামু আলাইকুম, আমি এম এন শাওন সাদেকী আপনাদের জানাচ্ছি বাংলাদেশ ন্যাপ ২০ দলীয় জোটের সাথে আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশ ন্যাপের সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি ও কার্যক্রম লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশ ন্যাপ থেকে জেবেল রহমান গাণি ও গোলাম মোস্তফা ভূইয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ১১টায় জরুরি মিটিং ডেকে। আমি এম এন শাওন সাদেকী বাংলাদেশ ন্যাপের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ ন্যাপ ২০ দলীয় জোটের সাথে আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’
মো. মুত্তাকিমের নেতৃত্বে এনডিপি এবং এম এন শাওন সাদেকীর নেতৃত্বে ন্যাপ বিএনপি জোটে স্বীকৃতি পাবে কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে বিএনপি জোটের অতীত পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৪ সালে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রয়াত শেখ শওকত হোসেন নিলুর জোট ছাড়ার মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর ভাঙনের সূচনা হয়। পরবর্তীতে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে এনপিপির একটি অংশ বিএনপি জোটে যুক্ত থাকে। এর ধারাবাহিকতায় এনডিপির তৎকালীন মহাসচিব মো. আলমগীর মজুমদার এবং চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তাজার মধ্যে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার চলে। আলমগীর মজুমদার জোট ছেড়ে যায়, খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা বিএনপি জোটে থেকে যায়। ভাসানী ন্যাপ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মধ্যেও ভাঙন দেখা গেছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দলগুলোর খণ্ডাংশকে রেখে দিয়ে বিএনপি ২০ দলের নাম বজায় রেখেছে। অবশ্য এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। দলটির মধ্যে দুই ভাগ থাকলেও দুই অংশই বিএনপি জোটে যুক্ত রয়েছে।
কেএইচ/এমবিআর/এমএস