তারেকের সাজার রায় শুনেছেন খালেদা?

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০১৮
ফাইল ছবি

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ রায়ের কথা জানতে পেরেছেন কি-না তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল রয়েছে। রায় শুনে থাকলে কী প্রতিক্রিয়া তার, তা জানার আগ্রহ অনেকের। আদালতের নির্দেশে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৬১২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন।

খালেদা জিয়া রায় শুনেছেন কি-না- এ সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও বেগম খালেদা জিয়ার নিত্যজীবনযাপন ধারা পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বেগম খালেদা জিয়া রাতে ঘুমান কম। তাই সকালের দিকে তিনি ঘুমান। অধিকাংশ দিন দুপুরের আগে ঘুম ভাঙে না তার। তাই অনুমান করা যায় এ সময় তিনি ঘুমিয়ে অথবা বিশ্রামে ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালেদা জিয়া যে মানের ডিলাক্স কেবিনে আছেন সেগুলোতে এমনিতে ডিশ ক্যাবল সংযোগসহ টিভি থাকে। তবে বেগম জিয়ার রুমে টিভি নেই। ফলে টিভি দেখে রায় জানতে পারবেন না তিনি। তার নিরাপত্তার বা চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষী, ডাক্তার, নার্স কেউ তাকে জানালে হয়তো জানতে পারবেন তিনি।

আজ (বুধবার) দুপুর ২টায় বিএসএমএমইউ ভিসির কাছে বেগম জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের পরামর্শ অনুসারে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। আজ বিকেলে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যা তাকে আবার দেখতে যাবেন।

বেগম খালেদা জিয়ার কেবিনে টেলিভিশন বা ডিস সংযোগ রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত নেই। তবে তিনি চাইলে জেলকোড মেনে সরকারি চ্যানেল অর্থাৎ বিটিভি দেখার জন্য টিভি পাবেন। আজ তিনি রায় শুনেছেন কি না সে সম্পর্কে তার জানা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এমইউ/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।