বিএনপির জনসভায় নির্বাচনী শোডাউন দিলেন যারা!
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত জনসভায় বিএনপির শতাধিক নেতার পক্ষে আসনভিত্তিক শোডাউন হয়েছে। কারাবন্দী চেয়ারপারসনকে প্রতীকী প্রধান অতিথি রেখে জনসভায় বক্তব্য দিয়েছেন দলের ৪৬ নেতা।
২টা থেকে জনসভায় বক্তব্য শুরু হলেও দুপুর ১২টা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাকর্মীরা আসন ভিত্তিক ব্যানারে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে যোগ দেন। এর মধ্যে কেউ কেউ আসন উল্লেখ না করলেও জেলা-উপজেলা কমিটির ব্যানারে জনসভায় যোগ দেন। জনসভাস্থলে আসনভিত্তিক কারো কারো ব্যানার-ফেস্টুনও টাঙানো হয়। জনসভা সঞ্চালনা করের আব্দুস সালাম আজাদ (মুন্সীগঞ্জ)।
জনসভায় আসনভিত্তিক যেসব নেতাদের নামে ব্যানার ফেস্টুন দেখা যায় তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আমান উল্লাহ আমান (ঢাকা-২), জুম্মন চেয়ারম্যান (যাত্রাবাড়ি-কদমতলী), আ ন ম সাইফুল ইসলাম (শ্যামপুর-কদমতলী), সালাহউদ্দিন আহমেদ (ঢাকা ৫ ও ৬), সেলিম ভূঁইয়া (ঢাকা-৫), আব্দুস সালাম (ঢাকা-১৩), হাজী শহীদুল ইসলাম (বাবুল ঢাকা-৭), সিরাজুল ইসলাম (ঢাকা-১০), মো. রবিউল আউয়াল (ঢাকা-১৪), এস এ সিদ্দিক সাজু (ঢাকা-১৪), আমিনুল হক (পল্লবী-রূপনগর), জামাল জামান মোল্লা (ঢাকা-১৭), মীর সরফত আলী সপু (মুন্সীগঞ্জ-১), মিজানুর রহমান সিনহা (মুন্সীগঞ্জ-২), কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল (গাজীপুর-১), শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ (গাজীপুর-৪), হুমায়ুন কবীর খান (গাজীপুর-১১), কাজী মনিরুজ্জামান মনির (নারায়ণগঞ্জ-১), মাহামুদুর রহমান সুমন (নারায়ণগঞ্জ-২), আজহারুল ইসলাম মান্নান (নারায়ণগঞ্জ-৩), নজরুল ইসলাম আজাদ (নারায়ণগঞ্জ), শাহ মোহাম্মাদ আবু জাফর (ফরিদপুর-১), মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম (গোপালগঞ্জ-১), বাদলুর রহমান খান (টাঙ্গাইল-কালিহাতী) এবং নাসিরুল হক সাবু (রাজবাড়ি-২) অন্যতম।
আসন উল্লেখ না করলেও ঢাকা বিভাগের যেসব নেতাদের পক্ষে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ব্যানার ও অঙ্গসহযোগী দলের ফেস্টুন দেখা গেছে তাদের মধ্যে মির্জা আব্বাস (পল্টন), গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (কেরাণীগঞ্জ), নাসিমা আক্তার কল্পনা (লালবাগ), নবী উল্লাহ নবী (যাত্রাবাড়ি), তানবীর আহমেদ রবিন (শ্যামপুর), ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম (ধানমন্ডি), হাবীব উন নবী খান সোহেল (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ), কাজী আবুল বাশার (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ), মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জু (মিরপুর), আফাজ উদ্দিন (মিরপুর), মামুন হাসান (মহানগর যুবদল) আহাসান উল্লাহ হাসান (ঢাকা মহানগর), এস এম সায়েম (স্বেচ্ছাসেবক দল কামরাঙ্গীচ্চর), হাজী মনির (কামরাঙ্গীচ্চর), আব্দুল হাই (মুন্সীগঞ্জ), কামরুজ্জামান রতন (মুন্সীগঞ্জ), খায়রুল কবীর খোকন (নরসিংদী), জাহাঙ্গীর শিকদার (জাসাস), আফরোজা বেগম রীতা (মানিকগঞ্জ), হারুন অর রশীদ (রাজবাড়ী), আব্দুস সালাম পিন্টু (সখীপুর), হাসান সরকার (গাজীপুর), সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ( কেন্দ্রীয় যুবদল), মো. শরীফুল আলম (কিশোরগঞ্জ), ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান (শিবচর) এবং কামাল জামান মোল্লা (শিবচর), অ্যডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার (নারায়ণগঞ্জ), আতাউর রহমান আব্দুর (নারায়ণগঞ্জ) এবং সাখাওয়াত হোসেন খান (নারায়ণগঞ্জ) অন্যতম।
এ ছাড়া এ বিভাগের চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ (ফরিদপুর), শহিদুল ইসলাম বাবুল (ফরিদপুর), আহমেদ আজম খান (টাঙ্গাইল) মাহমুদুল হাসান (টাঙ্গাইল), অধ্যাপক সাহিদা রফিক (ঢাকা), সানাউল্লাহ মিয়া (নরসিংদী), আকরামুল হাসান মিন্টু (নরসিংদী) অনুসারীদের নিয়ে জনসভায় যোগ দেন।
ঢাকা বিভাগের ১৫ নেতা জনসভায় বক্তব্য দেন। তারা হলেন- রফিকুল ইসলাম মিঞা, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমান উল্লাহ আমান, ফজলুর রহমান, খায়রুল কবীর খোকন, ফজলুল হক মিলন, শামা ওবায়েদ, সালাউদ্দিন আহমেদ, কাজী আবুল বাশার, মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, আফরোজা আব্বাস, সাইফুল ইসলাম নীরব এবং সাদেক খান।
খুলনা বিভাগের ওবায়দুল ইসলামের (বাগেরহাট-৪) পক্ষে আসনভিত্তিক ব্যানার ফেস্টুন দেখা গেছে। এ বিভাগের আমিরুজ্জামান খান শিমুল (ঝিনাইদহ) তার অনুসারীদের নিয়ে জনসভায় যোগ দেন। এম এ সালামের পক্ষে বাগেরহাট জেলা বিএনপির মিছিল এবং অনিন্দ ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে যশোর জেলা বিএনপির মিছিল দেখা যায়। বিভাগের হয়ে শামসুজ্জামান দুদু এবং নিতাই রায় চৌধুরী জনসভায় বক্তব্য দেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের আসনভিত্তিক যাদের ব্যানার দেখা গেছে তাদের মধ্যে আলহাজ মজিবর রহমান চেয়ারম্যান (চট্টগ্রাম-১৫), হাজী নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া (কুমিল্লা-৩), আলহাজ মো. আব্দুল আউয়াল খান (কুমিল্লা-৪), এএফ তারেক মুন্সী (কুমিল্লা-৪), মো. আবুল কালাম (কুমিল্লা-৯), মো. ইকরামুল হক মজুমদার (কুমিল্লা-১০) কামরুল হুদা (কুমিল্লা-১১), ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন (চাঁদপুর-১), ইঞ্জিনিয়ার মানিক (চাঁদপুর-১), লায়ন হারুন অর রশিদ (চাঁদপুর-৪) এবং কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬)। জনসভা সঞ্চালনা করেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি (লক্ষ্মীপুর)।
আসন উল্লেখ না থাকলেও এ বিভাগের যেসব নেতাদের পক্ষে ব্যানার, ফেস্টুন, মিছিল দেখা যায় তাদের মধ্যে আবুল খায়ের ভূঁইয়া (লক্ষ্মীপুর), সাহাবুদ্দিন সাবু (লক্ষ্মীপুর), ইয়াসীন আলী (কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল), গফুর ভূঁইয়া (কুমিল্লা), খোকন ভূঁইয়া (কুমিল্লা দক্ষিণ), আলহাজ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ (কুমিল্লা), ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) এবং একরাম (নাসিরনগর বিএনপি)। এ বিভাগের সুকোমল বড়ুয়া (চট্টগ্রাম), জয়নাল আবেদীন (ভিপি) (ফেনী), তার অনুসারীদের নিয়ে জনসভায় যোগ দেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ নেতা বক্তব্য দেন। তারা হলেন- খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ (নোয়াখালী), আব্দুল্লাহ আল নোমান (চট্টগ্রাম), মো. শাজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু (নোয়াখালী), শওকত মাহামুদ (কুমিল্লা), আবুল খায়ের ভূঁইয়া (লক্ষ্মীপুর), জয়নুল আবদীন ফারুক (নোয়াখালী), আতাউর রহমান ঢালী (চাঁদপুর), এম মাহাবুব উদ্দিন খোকন (নোয়খালী), মাহাবুবুর রহমান শামীম (নোয়াখালী), শফিউল বারী বাবু (লক্ষ্মীপুর) এবং আনোয়ার হোসেন (চাঁদপুর)।
বরিশাল বিভাগের যেসব নেতাদের পক্ষে আসনভিত্তিক ব্যানার ফেস্টুন দেখা যায় তাদের মধ্যে-মো. আকন কুদ্দুসুর রহমান (বরিশাল-১), ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম (বরিশাল-১), এস এম এ বকর (বরিশাল-২) আবুল হোসেন খান (বরিশাল-৬), মুহাম্মদ মুনির হোসেন (পটুয়াখালী-২), আলফাজ মোস্তফা (পটুয়াখালী-৩), মো. ফকরুল আলম (পিরোজপুর-১), অমর চন্দ্র মিস্ত্রি (পিরোজপুর-১) এবং হাফিজ ইব্রাহিম (ভোলা-২) অন্যতম। এ ছাড়া নাজিম উদ্দিন আলম (ভোলা), মাসুদ আহমেদ তালুকদার (বরিশাল) তার অনুসারীদের নিয়ে জনসভায় যোগ দিতে দেখা যায়। এ বিভাগের নেসারুল হক (পটুয়াখালী) জনসভায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন।
বরিশাল বিভাগের বক্তব্য দেন আটজন। তারা হলেন- হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম) (ভোলা), বেগম সেলিমা রহমান (বরিশাল), খন্দকার মাহাবুব হোসেন (বরগুনা), জয়নুল আবেদীন (বরিশাল), মুজিবুর রহমান সরোয়ার (বরিশাল), সৈয়দ মোায়াজ্জেম হোসেন আলাল (বরিশাল), বিলকিস জাহান শিরিন (বরিশাল), রাজিব আহসান (বরিশাল)।
ময়মনসিংহ বিভাগের আসনভিত্তিক যেসব নেতাদের ব্যানার ফেস্টুন দেখা গেছে তাদের মধ্যে- মো. আক্তারুজ্জামান বাচ্চু (ময়মনসিংহ-১০) এবং মোফাখখারুল ইসলাম রানা (ময়মনসিংহ-১০) উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া এ বিভাগের ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম (ময়মনসিংহ উত্তর) এবং এএফএম আতিকুল ইসলাম পিকুলের (জামালপুর) পক্ষে ব্যানার ফেস্টুন দেখা গেছে।
ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন বক্তব্য দেন, নজরুল ইসলাম খান (জামালপুর), এবং (২) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স (ময়মনসিংহ)।
রংপুর বিভাগের মো. ওবায়দুল হক সরকার বাবলুর (গাইবান্ধা-৪) পক্ষে ব্যানার দেখা যায়। এ ছাড়া এ বিভাগের চারজন বক্তব্য দেন। তারা হলেন- জমির উদ্দিন সরকার (পঞ্চগড়), মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ঠাকুরগাঁও), এজেডএম জাহিদ হোসেন (দিনাজপুর) এবং আসাদুল হাবিব দুলু (নীলফামারী)।
রাজশাহী বিভাগের দুইজন বক্তব্য দেন- হাবিবুর রহমান হাবিব (পাবনা) এবং রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (নাটোর)।
কেএইচ/এএইচ/এমএস