জনগণের ঐক্য হলে জবাবদিহিতার সরকার গঠন হবে : ড. কামাল
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণের বৃহত্তর ঐক্য হলে পায়ের ধুলা নেয়া, কালো টাকার প্রভাব চিরতরে শেষ হবে। দেশে জবাবদিহিতার সরকার গঠন হবে। তবে দেশকে রক্ষায় দেশের সব মানুষকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নির্বাচনকালীন দল নিরপক্ষে সরকারের অপরিহার্যতা শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, যাদের কালো টাকা আছে, তারাই এখন দেশের মালিক। তবে উনারা বলে থাকেন সৃষ্টিকর্তা নাকি ওনাদের রাষ্ট্র পরিচালনার লাইসেন্স দিয়েছে। আসলে তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি করছেন, আর দায়ী করছেন সৃষ্টিকর্তাকে। তারা গণতন্ত্রের নামে রাষ্ট্রের ১২টা বাজিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্যরা অন্ধ ও বোবা। তারা দেশের সমস্যার কথা বলছেন না। তাদের বেতন-ভাতা তো ঠিক আছে। তাদের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, কথা বলবে কেন? সরকার বলছে, এ দেশ সত্যিকারের উন্নয়নশীল হয়েছে। উন্নয়নশীল হলে তো বস্তিবাসীর জন্য আবাসন দেখছি না, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি দেখছি না। বাবা যেমন ছেলে-মেয়ের জন্য বাড়ি-সম্পদ রেখে যায়, বাড়ির মালিকের দলিল থাকে, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন। এর ৭ অনুচ্ছেদে লেখা আছে, জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। সেই মালিক জনগণের কাছ থেকে রাষ্ট্রের দলিল ছিনিয়ে নিয়েছে। জনগণ কথা বলতে পারছে না। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছিল তারা কী ধরনের বাংলাদেশ চেয়েছিল- সবাইকে জানতে হবে। তাদের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হোক। সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ হলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
ড. কামাল হোসনের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গণফোরামরে কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকটে সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
এইউএ/বিএ