যুবলীগকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট না করার আহ্বান তোফায়েলের
বিতর্কিত কাজ করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট না করতে যুবলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন আহ্বান জানান। মহানগর নাট্যমঞ্চে কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুবলীগ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
যুবলীগ কর্মীদের উদ্দেশ্যে তোফায়ল বলেন, ‘বিতর্কিত কাজ করবেন না। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না, যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ পেয়ে যায়।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, পাকিস্তানি সেনারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে সাহস পায়নি। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, পাকিস্তান সামরিক জান্তা তাকে হত্যা করতে পারবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের বাঙালির হাতেই জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু নিহত হয়েছেন। দেশিয় ও আন্তর্জাতিক মহলেরর ষড়যন্ত্রের কারণেই তাকে হত্যার শিকার হতে হয়।
প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। জিয়াই প্রথমে রাজাকারদের পুনর্বসান করছেন। আর তার হাত ধরেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি (খালেদা) মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সংগঠন জামায়াতের শক্তির ওপর ভর করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন। খালেদা জিয়া রাজকার নিজামী-মুজাহিদের হাতে পতাকা দিয়ে আমাদের হাতকড়া পরিয়েছিলেন।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ’৭০ এর নির্বাচনে আমি বঙ্গবন্ধু সফরসঙ্গী ছিলাম। আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি, বাঙালির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা। একইভাবে বাংলার সাধারণ মানুষও তাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন।
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তার কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু যেমন লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগুতেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
সভায় বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কারণে জিয়াউর রহমানই সবচেয়ে সুবিধা ভোগ করেছিলেন। আর এ থেকেই প্রমাণিত হয় বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে জিয়ারও ষড়যন্ত্র ছিল।
যুবলীগ সভপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর সভপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান, আব্দুস সাত্তার, মাহবুবুর রহমান হিরন, ফারুক হোসেন প্রমূখ।
এএসএস/এসকেডি/এমআরআই