ভোট রক্ষায় ৪০ হাজার কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত আ.লীগের

ফজলুল হক শাওন
ফজলুল হক শাওন ফজলুল হক শাওন , বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:৩৩ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অত্যন্ত সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগ। তারা এবার হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে। ভোট পাহারা দেয়ার জন্য জেলায় জেলায় সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। জেলা কমিটি মনিটরিং করবে নির্বাচনী আসন ও উপজেলা। এ ছাড়া সারাদেশে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক ৪০ হাজার কমিটি গঠন করা হবে। তবে এসব কমিটিতে কোনো প্রার্থী থাকতে পারবে না।

শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নেতা জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। প্রথমেই সূচনা বক্তব্য রাখেন দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বিভাগীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। তবে তার এ প্রস্তাব দলীয় প্রধান নাকচ করে দেন। এরপর প্রতিটি জেলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমন্বয় কমিটি গঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে সম্মতি দেন। এছাড়া প্রতিটি নির্বাচনী আসনে, উপজেলায় এবং কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বৈঠকে। বৈঠকে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য আখতারুজ্জামান ও র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন নেতা।

দলের একজন সিনিয়র নেতা জাগো নিউজকে বলেন, যেসব মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের এমপিদের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশে প্রকাশ্যে বক্তব্য ও বিষোদগার করছেন, তারা যোগ্য হলেও কোনোভাবেই তাদেরকে মনোনয়ন না দেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট মনোভাব দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। কারণ এতে এমপিদের সমালোচনা করতে গিয়ে নৌকার ভোট নষ্ট হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ভুল ধারণা যাচ্ছে। এতে করে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

দলের আরেকজন সিনিয়র নেতা জানান, ১৩৭ সদস্যের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এ কমিটির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম ও সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের।

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সব সদস্য ছাড়াও ১৩৭ সদস্যের কমিটিতে সহযোগী ৭ সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। এ সংগঠনগুলো হলো বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ।

আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সকল সদস্য, সভাপতিমণ্ডলীর সকল সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, সকল সাংগঠনিক সম্পাদক, দফতর সম্পাদক, উপ-দফতর সম্পাদক, উপ-প্রচার সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, কার্যকরী সংসদের সকল সদস্য, সহযোগী সংগঠনের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।

এফএইচএস/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।