নৌমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রাজধানীর সদরঘাটের বিভিন্ন ঘাট ইজারা দেয়ার ক্ষেত্রে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগ।

নিয়মানুযায়ী শ্রমিকদের মাধ্যমে পরিচালিত ঘাট সমবায় সমিতিকে রাজধানীর সদরঘাটের ইজারা না দিয়ে মন্ত্রী তার আস্থাভাজন লোকদের মাধ্যমে ঘাট পরিচালনা করছেন দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম খোকন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ঘাটে মধ্যস্বত্বভোগী ইজারাদারি প্রথা বিলুপ্ত করে ঘাট সমবায় সমিতিকে সহজমূল্যে ঘাট ইজারা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু জাতির জনকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত নীতি বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার শাসনামলে ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের নীতি অনুযায়ী ঘাট শ্রমিক সমবায়কে ঘাট বরাদ্দ দেয়া হয়।’

নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে ইঙ্গিত করে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরবর্তী সময়ের জাসদ নেতা আওয়ামী লীগে যোগদান করে এমপি-মন্ত্রী হয়ে বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনার নীতি বাতিল করে সদরঘাট টার্মিনালসহ বিভিন্ন ঘাটে খাস কালেকশনের নামে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি কখনও বিএনপির চিহ্নিত লোক কখনও ভুয়া ঘাট শ্রমিক দিয়ে ঘাট পরিচালনা করে আসছেন। অথচ শ্রম দফতর এবং জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগের অনুমোদিত কমিটি এবং শ্রমিক লীগের সমর্থিত শত শত ঘাট শ্রমিককে দিয়ে ঘাট এলাকায় কাজ করতে দিচ্ছে না।’

সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘ফলে ঘাট শ্রমিকরা নিদারুন দুরবস্থার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন অনুগ্রহ করে জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগ ও এই সংগঠনের শত শত ঘাট শ্রমিককে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে রাহুগ্রাস থেকে বাঁচান।’

জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফরহাদ হোসেন পরু বলেন, ‘নৌপরিবহন মন্ত্রী তার আস্থাভাজন লোকদের সদরঘাটের বিভিন্ন ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছেন। মন্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় বলছেন, শ্রমিকদের কাছে বিআইডব্লিউটিএ’র ইজারার সাড়ে ৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে কী হয়েছে আমরা জানি না। গত ৯ বছর ধরে তো আমরা সদরঘাটের কোনো কাজই পাচ্ছি না। যারা সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছে তাদের শাস্তি দেয়া হোক, কিন্তু আমাদের কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে। মন্ত্রী ঢালাওভাবে শ্রমিকদের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। আমরাও আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য, কিন্তু আমাদের ওপর মন্ত্রীর ভীষণ ক্ষোভ।’

এ সময় সংগঠনের সভাপতি আব্দুল জলিলসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এমবিআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।