‘বিএনপির সঙ্গে আপস করার কথা যারা বলে তারা ভণ্ড’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৭ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৮

গণতন্ত্রের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা ও চক্রান্তকে ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে ১৪দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেছেন, ‘ইলেকশনে আসেন, মাঠে খেলা হবে। জনগণ রায় দেবে। কিন্তু ঘরের ভেতরে বসে বৈঠক করে ক্ষমতায় আসবেন সেই দিন আর ফিরে আসবে না।’

শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় নেতা মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের ৩২তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসিম বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার কিছু নেই, ইলেকশন যথাসময়ে হবে। ইলেকশন কমিশন তা ঠিক করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রকে ছাড় দেয়া হবে না। যার মনে চায় নির্বাচনে আসবে যার মনে না চায় আসবে না।’

বিএনপির সঙ্গে আপস করার কথা যারা বলে তারা ভণ্ড, প্রতারক মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে কে হাত মেলাবে? খুনিদের সঙ্গে কোনো রাজনীতি হবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম গতকাল বলেছেন, তারা জামায়াতের সঙ্গে আছে। এই খুনি ঘাতকদের সঙ্গে যারা রয়েছে আর যাই হোক, বাংলাদেশর মানুষ জেনেশুনে আর অন্ধকারের দিকে যাবে না।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জয়-পরাজয়ে আমরা ভয় পাই না। কিন্তু একাত্তরের ঘাতকরা কোনো বিভ্রান্ত্রির মাধ্যমে যেন খুনিদের ক্ষমতায় না আনতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, সব জায়গায় দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।’ এ সময় তিনি ১৪ দলকে প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার জন্য যুগ যুগ ধরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বাংলাদেশ যতদিন আছে বঙ্গবন্ধুর নাম ততদিন থাকবে। জিয়াউর রহমান নেপথ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করিয়েছে। বিএনপি যত বড়ই কথা বলুক না কেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যে ছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’

বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট এস কে সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানসহ প্রমুখ।

এইউএ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।