ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে সিইসি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ : রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৮
ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজের বিরোধিতা সত্ত্বেও সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাখ্যাত ও নিষিদ্ধ হওয়া এই ডিজিটাল মেশিনটি (ইভিএম) আগামী নির্বাচনে ১০০ আসনে ব্যবহার করার অনুমোদন করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কয়েকজন কমিশনার। নিজের নেতৃত্বাধীন কমিশনে ভিন্নমত থাকার পরও ইভিএম ব্যবহারে মরিয়া হয়ে এটি বাস্তবায়নে চূড়ান্ত উদ্যোগ গ্রহণ সুস্পষ্ট হলো- সিইসি ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজবী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্বাধীন বিবেক দ্বারা স্বায়ত্তশাসিত নন। ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের বাকশালী বিবেকই তিনি নিজের মধ্যে প্রথিত করেছেন। এটা দিবালোকের মতো সত্য প্রমাণিত হলো যে, সবদিক থেকে ইভিএমের ব্যাপারে বিরোধিতা থাকার পরও সিইসিসহ কয়েকজন কমিশনারের একতরফা ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচন জালিয়াতি করারই চূড়ান্ত মাস্টার প্লান।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি গোপন কোড জানা থাকলেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের গণনাপদ্ধতি সম্পূর্ণ পাল্টিয়ে ফেলা যায়। ভোটারবিহীন আওয়ামী জোটের সরকার জনগণের টাকায় জালিয়াতি করার মেশিন কিনে জালিয়াতির নির্বাচন করতে চায়।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গত পরশু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- তিনি ভোটের জন্য রাজনীতি করেন না, জনকল্যাণের জন্যই না কি তিনি রাজনীতি করেন। আসলে তিনি ঠিকই বলেছেন, শুধু এখানে একটু সংশোধনী হবে, জনকল্যাণের স্থলে হবে আওয়ামী কল্যাণের জন্য তিনি রাজনীতি করেন। আত্মীয়-স্বজনদের অর্থ-বিত্তে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তোলার জন্য তিনি রাজনীতি করেন। আর ভোটের জন্য যে তিনি রাজনীতি করেন না সেটির উৎকৃষ্ট প্রমাণ তিনি প্রতিদিনই রাখছেন। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের প্রতিটি নির্বাচনে তার ভোটারদের প্রয়োজন হয়নি। ভোটারা দূর থেকে দেখেছে ভোট ডাকাতির দৃশ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিকারের গণতন্ত্রে সরকার পরিচালনায় জনগণের যে ম্যান্ডেট প্রয়োজন হয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন না। সেজন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী থাকতেই ভালবাসেন। তাই অনুগত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ইভিএম নামক জাদুর বাক্স আমদানী করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধাপ্পাবাজীর ভোটের বন্দোবস্ত করছেন।’

রিজভী বলেন, ‘তবে এবার জনগণ সরকারের সকল মাস্টারপ্লান ডাস্টবিনে ফেলে দেবে। ভোট নিয়ে অনাচারের পুনরাবৃত্তি জনগণ রুখে দেবে। এবারে জনগণের শিলা-কঠিন ঐক্যে সরকারের সকল পরিকল্পনা ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান সুরুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।