ইভিএম নিয়ে ইসির পদক্ষেপ সন্দেহজনক : ন্যাপ মহাসচিব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪০ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৮

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০০ আসনে বিশেষ দল বা গোষ্ঠীকে বিশেষ অনৈতিক সুবিধা দিতেই ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিষয়টিকে দ্রুত আরপিওতে সংযোজন করা হচ্ছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাপের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী শফিকুল গানি স্বপনের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ইসির সঙ্গে সংলাপে যেখানে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিপক্ষে মতামত প্রদান করেছেন সেখানে ইভিএমের পক্ষে ইসির গৃহীত পদক্ষেপ সন্দেহজনক। দেশবাসীর মনে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশন বিশেষ কোনো দল বা গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দিতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর শতকরা ৯০ ভাগ দেশে ই-ভোটিং পদ্ধতি নেই। যে কয়েকটি দেশ এটি চালু করেছিল, তারাও ইতোমধ্যে তা নিষিদ্ধ করেছে। ২০০৬ সালে আয়ারল্যান্ড ই-ভোটিং পরিত্যাগ করে। ২০০৯ সালের মার্চ মাসে জার্মানির ফেডারেল কোর্ট ইভিএমকে অসাংবিধানিক ঘোষণা দেয়। একই বছর ফিনল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট ইভিএমে সম্পন্ন তিনটি মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের ফলাফল অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে আমাদের সামনে। এমনকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২২টির বেশি অঙ্গরাজ্যে এটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলোতেও তা নিষিদ্ধ হওয়ার পথে।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আরও বলেন, এই অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন কেন ইভিএমের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে- দেশবাসীর মনে এই প্রশ্ন উদ্বেগ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

তিনি অবিলম্বে আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

শফিকুল গানি স্বপনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, তার মতো মেধাবী রাজনীতিবিদ আজকের সমাজে বড়ই বিরল। তিনি আজীবন দেশ, মাটি-মানুষ ও গণতন্ত্রের জন্য রাজনীতি করেছেন। জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমিক রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তিনি।

ন্যাপ মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক কমরেড রফিকুল ইসলাম, ন্যাপের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, যুবনেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।

কেএইচ/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।