প্রস্তাবিত পরিবহন আইনে অনেক অসঙ্গতি আছে : ফখরুল
প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় অনেক সঙ্গতি আছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এই আইনের মধ্যে অনেকগুলো অসঙ্গতি আছে। এক নম্বর অসঙ্গতি হচ্ছে, ট্রান্সপোর্টের মালিকদের সম্পর্কে কোনো কিছু বলা নাই। দ্বিতীয় যদি কারও দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে, সেখানে বলা হয়েছে, যদি হত্যার উদ্দেশ্য, নিয়মনীতির বাইরে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনায় কেউ মারা যায় তার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর।’
মঙ্গলবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল এটা মৃত্যুদণ্ড, সর্বোচ্চ শাস্তির যে দাবি ছিল সেটা এই খসড়া আইনে নেই। এতদিন বলা হলো- আমরা আইন আনছি, আইন করছি, এখন দেখা গেল কোটার মতোই অবস্থা। আরেকটা প্রতারণা।’
বিএনপি মহাসচিব সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে। এটা এখনো পাস হয়নি। আমরা আশা করবো যে, এটা আইন হওয়ার আগে বিষয়টি আবার তারা বিবেচনায় নিয়ে দেখবেন এবং বিষয়গুলো শেষ করার চেষ্টা করবেন।’
বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশু-কিশোরদের ওপর পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হামলা, আলোকচিত্রীদের ওপর নির্মম নির্যাতন, প্রবীণ আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গ্রেফতারে ২০ দল নিন্দা জানাচ্ছে। যোগাযোগ মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ার ওপর নানা ধরনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা, জনগনের মতপ্রকাশের ওপর হস্তক্ষেপ বিবেচনা করে এ থেকে সরকারকে বিরত থাকার আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জোটের বৈঠকের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামী আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, আবদুল করীম, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার তাসমিয়া প্রধান, খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এমদাদুল হক চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/বিএ