হারের মধ্যেও জয় দেখছে বিএনপি!

খালিদ হোসেন
খালিদ হোসেন খালিদ হোসেন , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪২ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৮

রাত পোহালেই দেশের তিন সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

দলটির নেতাদের দাবি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এতে তাদের প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে। অন্যথায় প্রমাণ হবে আওয়ামী লীগ সরকার এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

দলীয় সূত্র জানায়, বরিশাল, রাজশাহী এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মানসিকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীরা পরাজয় মেনে নিয়েছে।

অন্যদিকে রাজশাহী বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এছাড়াও সিলেটে রয়েছে মেয়র পদে বিএনপি তার অন্যতম শরিক জামায়াতের প্রার্থী।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তিন সিটিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিচ্ছে অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা হামলার মাধ্যমে হয়রানি করছে।

বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন রোববার রাত ১০টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, ‘বরিশালে বহিরাগতদের আনাগোনা বেশি, পটুয়াখালী, ঝালকাঠিসহ আশপাশের জেলা থেকে অপরিচিত মানুষের ভিড় প্রত্যেকেই ক্ষমতাসীনদের পক্ষে এসেছে। অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হয়রানি অব্যাহত রয়েছে।’

এই পরিস্থিতিতেও শেষ পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থী মাঠে থাকবে বলেও জানান তিনি।

এই ধরনের নির্বাচনে কেন থাকছেন জানতে চাইলে শিরিন বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হবে যে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। আমরা যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছি, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের কথা বলছি। আমাদের দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণ হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে এটাই আমাদের রাজনৈতিক বিজয়।’

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়ে শনিবার রাতে ঢাকায় ফিরেছেন বিএনপির শরিক বাংলাদেশ ন্যাপ'র মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার কোথাও নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করেনি। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট প্রার্থীর জয় রাজশাহীতে নিশ্চিত।

কিন্তু ভোটারা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা, এজেন্টরা থাকতে পারবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সবার মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে বলা যায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। যার দায় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের। আমরা সব সময় বলছি এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘এই তিন সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি সেটা যথার্থ প্রমাণিত হবে।’

২০ দলীয় জোটের সিলেট সিটি নির্বাচনের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম রাকিব।

তিনি বলেন, ‘ভোটারদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। তাদের ভোট অন্য কেউ নিয়ে যাবে কিনা। এই সরকার একদম পর্দাবিহীন আচরণ করছে।’

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

খসরু বলেন, ‘আমাদের অনেকেই বলে আপনারা জেনে শুনে কেন এই সমস্ত নির্বাচন করছেন? এই প্রহসনের অংশীদার কেন হচ্ছেন আপনারা, আমরা কেন হচ্ছি, এটাও বলেছি, আমরা এজন্য হচ্ছি যে তাদের তাদের মুখোশ উম্মোচন করার জন্য আমরা নির্বাচন করছি। তাদের মুখোশ বার বার উম্মোচনের জন্য আমরা বার বার নির্বাচন করছি।’

কেএইচ/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।