খালেদাকে নিয়েই নির্বাচনে যাবে বিএনপি : আব্বাস
বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, অনেকে বলেন- বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া দরকার। আমিও তাদের সঙ্গে একমত। তবে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া জন্য দরকার বেগম জিয়াকে মুক্ত করা। বেগম জিয়া ছাড়া নির্বাচন গাজীপুর-খুলনা সিটি নির্বাচনের মতো হয়ে যাবে। তাই নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তাকে নিয়েই আমরা নির্বাচনে যাবো এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির ক্ষতিগ্রস্থ নেতাকর্মীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল’ এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৬টি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃর্ণমূল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে নির্যাতন করছে। শুনছি আবার নাকি বিএনপির নেতাকর্মীদের লিস্ট করছে। এসব লিস্ট-ফিস্ট দিয়ে কাজ হবে না। বিএনপির আন্দোলনে ওই লিস্ট বাতাসে উড়ে যাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে বিএনপি ভীতি। তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। আওয়ামী লীগ সবসময় ভীতসন্ত্রস্ত থাকে- তারেক রহমান কখন দেশে চলে আসেন। তারা মনে করে বাংলাদেশের সব মানুষ তাদের শত্রু। মানুষ তাদের শত্রু ছিল না। তাদের অপশাসন, দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে শত্রু হয়ে গেছে।
গাজীপুর- খুলনা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গাজীপুর-খুলনা সিটি নির্বাচনে সরকার কারচুপি করে বিজয়ী হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরপর বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হুমকি-ধামকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে। বিএনপি কৌশলগত কারণে প্রতিরোধ করেনি। তবে আগামীতে প্রতিরোধ করা হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে বাংলাদেশে ঘরে ঘরে স্বজনহারা মানুষের কান্নার রোল। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই গুম হওয়া নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দিন। আর খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের ব্যবস্থা করুন।
জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের সদস্য আরাফাতুল রহমান আপেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ স্ব-নির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নিলুফার চৌধুরী মনি, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা শাহীন, ছাত্রদলের রাজিব আহসান পাপ্পু প্রমুখ।
কেএইচ/এমবিআর/পিআর