দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারাই শুধু ভুল করে
অাওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অামাদের দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা মাঝেমধ্যে ভুল করে কিন্তু তৃণমূল নেতারা কখনও ভুল করে না। বঙ্গবন্ধু যখন ৬ দফা দিয়েছিলেন তখন কেউ কেউ ৮ দফা নিয়ে তাদের পেছনে ছুটেছেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতারা ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই অামরা ক্ষমতায় অাসতে পেরেছি। তাদের কারণেই দেশ অাজ উন্নত হচ্ছে।
অাজ শনিবার দুপুরে গণভবনে অায়োজিত দলের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বর্ধিত সভা দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড অাওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও অাওয়ামী লীগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অাওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দফতর সম্পাদক ড. অাবদুস সোবহান গোলাপ। পরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দেশের একজন মানুষ যেন গৃহ ছাড়া না থাকে। তালিকা করবেন কার ঘর নেই। অামরা তাদের ঘর করে দেব। একজন মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, বয়স্ক ভাতা যেন পায়, কৃষিভাতা যেন ঠিকভাবে পায়, উপবৃত্তি যেন পায়, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভাটের কাজ যেন ভালোভাবে হয়। প্রতিটি গ্রাম-শহরের মানুষ যাতে সমান সুযোগ-সুবিধা পায়, সেদিকে গ্রামের নেতাদের খেয়াল রাখতে হবে। কোথাও যেন দুর্নীতি না হয় সেটাও দেখতে হবে। এবারের বাজেটে এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ঠ টাকা রাখা হয়েছে। এসব টাকা যেন কাজে লাগে, সে ব্যবস্থা অামাদের করতে হবে।‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অামি প্রধানমন্ত্রীর কন্যা ছিলাম। নিজে তিনবার প্রধানমন্ত্রী। ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছি অার বলেছি, লেখাপড়া ছাড়া অার কোনো সম্পদ তোমাদের দিতে পারব না। তারা বড় হয়ে তাদের মতো চলছে। তিনি বলেন, অাপনারা অামার ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন বলেই অাজ দেশ থেকে জঙ্গি মুক্ত হয়েছে।
অনুরুপভাবে এদেশকে মাদকমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অাপনারা মাদক অভিযানে সহযোগিতা করবেন। কারণ, মাদক এমন একটা নেশা যা একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। এজন্য এ অভিযানে অাপনারা সাড়া দেবেন।‘
তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি অারও বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিলে এদেশে উন্নয়ন হয়, মানুষ চিকিৎসা পায়, শিক্ষা পায়, ঘরবাড়ি পায়। এ কথাগুলো গ্রামগঞ্জের মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে। কারণ মানুষের যখন সুখ অাসে, তখন কিন্তু মানুষ দুখের কথা ভুলে যায়। এছাড়া অাগামী নির্বাচনে কোনো দলীয় কোন্দল যেন না থাকে। থাকলে নির্বাচনের অাগেই মিটিয়ে ফেলুন। যারা অাগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, তাদের দলে টানার দরকার নেই। যারা যুবক তাদের দলে টানুন, নতুন নতুন কর্মী সৃষ্টি করুন। ‘
অাগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে তৃণমূল পর্যায়ে অারও সুসংগঠিত করারও নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এমইউ/এসআর/পিআর