আমরা তো সব হারিয়েছি : মওদুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ৩০ জুন ২০১৮

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘আমরা তো সবকিছু হারিয়েছি। আমাদের নেত্রী জেলখানায়। আমরা দেশে গণতন্ত্র হারিয়েছি, অধিকার হারিয়েছি। আইনের শাসন হারিয়েছি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হারিয়েছি। এমনকি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও হারিয়েছি।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জেল ও চিকিৎসা বিষয়ে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় নাগরিক অধিকার মঞ্চ’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, একটা জাতি কিসের ওপর নির্ভর করে বড় হয়? উন্নতি লাভ করে ওই ফ্লাইওভার দিয়ে নয়। রাস্তা-ঘাট নিয়ে নয়। সেতু দিয়ে নয়। একটা জাতির উন্নতি হয় তার মূল্যবোধ কতটুকু তার ওপর নির্ভর করে।

এই মূল্যবোধ দেশে এখন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকার দেশ চালাচ্ছে। তাদের মন, মানষিকতা একই। তারাই এ দেশে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধানকে খণ্ড-বিখণ্ড করে একদলীয় স্বৈরাচার বাকশাল গঠন করে। তাদের মন-মানষিকতা একই রয়ে গেছে। এতটুকু পরিবর্তন হয়নি।

তিনি বলেন, সেই সময় সংবিধান সংশোধন করে যে বাকশাল গঠন করে ছিল তা অনেকটা পরিষ্কার ছিল। এখন এটা অনেক প্রতারণামূলক এবং প্রবঞ্চনামূলক একটা ব্যবস্থা। কাগজে-কলমে বলছে সবই আছে, আসলে কিছুই নাই। এই যে প্রতারণা জনগণের সঙ্গে, এতে ইতিহাসে তারা দায়ী হয়ে থাকবে। এ কলঙ্ক থেকে তারা কোনোদিন মুক্ত হতে পারবে না।

বিএনপির সামনে কঠিন পথ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের এক নম্বর এজেন্ডা হলো আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা। কারণ তার মুক্তির মাধ্যমেই বাংলাদেশ আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি। তারা (আওয়ামী লীগ) ভয় করে বেগম জিয়া যদি বাইরে আসেন, তাহলে তাদের অবস্থা যেকোনো সময়ের তুলনায় আরও বেশি শোচনীয় হবে। বেগম জিয়া যেদিন মুক্তি পেয়ে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসবেন, সেদিন বাংলাদেশে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে, এই সরকারের বিরুদ্ধে।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচনগুলো সরকারের জন্য একটি পরীক্ষা। দলীয় সরকারের অধীনে কখনই নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। বিশেষ করে এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। এটা খুলনা ও গাজীপুরে প্রমাণিত হয়েছে। আগামীতে বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহীতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যদি ঘটে, তখন আমাদের নতুন করে চিন্ত করতে হবে আমরা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কি করবো না।

জাতীয় নাগরিক অধিকার মঞ্চের সভাপতি নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতউল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

এমএএস/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।