গাজীপুরের ফল প্রত্যাখ্যান, পুনরায় নির্বাচন চায় বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ২৭ জুন ২০১৮

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচন দাবি জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অালমগীর এ দাবি জানান।

সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ নির্বাচন নির্বাচনের নামে শুধুমাত্র একটি তামাশা। ভোট ডাকাতির নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করে তা প্রয়োগ করেছে। আমরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছি।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করে বাতিলের দাবি জানালেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে বরিশাল, রাজশাহী এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার আবার প্রমাণ করলো তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও নির্লজ্জভাবে একের পর এক নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে সকল নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। খুলনায় নতুন কৌশলে ভোট ডাকাতি করে তারই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গাজীপুরের নির্বাচনে আর এক কলঙ্কময় অধ্যায় সংযোজন করলো। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে স্বৈরাচার এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সমাহিত করছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নজীরবিহীন ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।

তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই গ্রেফতার, সাদা পোশাকের পুলিশ দিয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, ভাংচুর, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে না দেওয়া, নির্বাচনের আগের রাত থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সীল মারা, নির্বাচনের দিন এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

ফখরুল বলেন, সরকারের এই নিলর্জ্জ গণবিরোধী চরিত্র উন্মোচনের জন্য এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা স্থানীয় সরকারগুলোতে অংশ নিচ্ছি আন্দোলনের অংশ হিসাবে। আসন্ন বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনেও অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি একই কারণে। এ নির্বাচনগুলোর মাধ্যমে জনবিচ্ছিন্ন সরকারের প্রকৃত চেহারা উন্মোচন, নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতা ও পক্ষপাতিত্ব প্রমাণিত হচ্ছে।

কারাবন্দি খালেদা জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া আসন্ন নির্বাচনগুলোতে নির্বাচন কমিশনকে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য এবং জনগণকে এই ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, আ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।