‘বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে’
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত যে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছে তা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক প্রদান, স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আর কখনও ক্ষমতায় আসবে না। ঘাতকদের মূল উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত ঘৃণিত এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শেষ হবে না। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে আরও জোরালো ভূমিকা রেখে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
‘বিএনপি ও জামায়াতের অপশক্তিকে ছাড় দিলে বাংলাদেশ আবারও অন্ধকারে তলিয়ে যাবে’ একথা উল্লেখ করে নাসিম বলেন, যুদ্ধাপরাধী এইসব ঘৃণিত শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে বর্তমান সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। এদের সমূলে উৎপাটনের জন্য আরেকটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকারকে আসতে হবে। তবেই, দেশবিরোধী এসব খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে বিচার করে দেশ কলংকমুক্ত হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের সময়ে জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেসারাদের মানুষকে ঘাতকদের নির্মূলে প্রতীকী বিচারের ডাক দিয়েছিল। সে সময় অনেক বাধা প্রতিহত করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সারাদেশের মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জাহানারা ইমাম এর মধ্য দিয়ে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া চেতনা ফিরিয়ে এনেছিল।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, স্মারক বক্তব্য দেন কথাশিল্পী অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান, রিসার্চ ইনিসিয়েটিভ, বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা এবং কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া।
পরে কথাশিল্পী অধ্যাপক হাসান আজিজুল হককে জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক প্রদান করা এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
শহীদ জননী জাহারারা ইমাম ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুবার্ষির্কী উপলক্ষে প্রতিবছর কেন্দ্রীয়ভাবে ‘জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা’, আলোচনা সভা এবং ‘জাহানারা উমাম স্মৃতিপদক’ প্রদানের আয়োজন করা হয়।
এফএইচএস/জেএইচ/এমএস
