‘জয়ের গ্যারান্টি না পেলে অভিযোগ করতেই থাকবে বিএনপি’
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ের গ্যারান্টি না পেলে বিএনপি অভিযোগ করতেই থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ যারা বড়বড় কথা বলে তাদের মাগুরা মার্কা, ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন আজও মানুষের চোখে ভেসে আসে। কীভাবে ভোট জালিয়াতি করে বিএনপি নির্বাচনের ইতিহাসকে বার বার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ২০০১ সালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছে। এই যে আজকে গাজীপুরে ভোট কারচুপি হলে ভয়াবহ পরিণতি হবে এই হুঁশিয়ারি যিনি দিয়েছেন, তিনিই ২০০১ সালে সিরাজপুর ক্যাম্পে নিজের নির্বাচনী এলাকায় গাড়ি থেকে নেমেই বলে সকাল ১০টা বাজে এখনও ভোট দেয়া শেষ হয়নি? এই হচ্ছে বিএনপির নির্বাচন। যাদের নির্বাচন সকাল ১০টার আগেই ভোট শেষ, সেই রেকর্ড আওয়ামী লীগের নেই। আমাদের ইতিহাসে কলংকিত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ইতিহাস নেই।
গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করার বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন গুরুতর অভিযোগ পেলে প্রত্যাহার করত। তারা হয়ত এমন কোনো অভিযোগ পায়নি। এইসব তাদের পুরনো ভাঙা রেকর্ড। রেজাল্টের আগ পর্যন্ত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বিএনপির পুরনো অভ্যাস।
তিনি বলেন, এত বড় নির্বাচন হচ্ছে, এখনও কোথাও সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে গাজীপুরে। আগামীকাল নির্বাচন, অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার মাঝে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকার ফেসিলেটেট করছে, কোনো প্রকার ইন্টারফেয়ারেন্স করছে না। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করছে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করছে। এটাই আমাদের সংবিধানের বিধান যেটা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে যেমন নির্বাচন হয়েছে, কুমিল্লায় নির্বাচন হয়েছে রংপুরে খুলনায় যেমন হয়েছে ঠিক একইভাবে গজীপুরেও নির্বাচন হবে। আমরা জনগণের কাছে আহ্বান জানাই গাজীপুরবাসী সবাইকে, আমরা অবশ্যই নৌকা মার্কায় ভোট চাই। সব জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই আপনারা যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। এখানে সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্যে তিনি জানান, দুই ধাপে ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জুন বেলা সাড়ে ১১টায়। এ সভায় অংশগ্রহণ করবে চট্টগ্রাম বিভাগ, সিলেট বিভাগ, রাজশাহী এবং বরিশাল বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ের দলীয় চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় ধাপে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে ৭ জুলাই সকাল সকাল সাড়ে ১১ টায়। এই ধাপে অংশগ্রহণ করবে ঢাকা বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগ, রংপুর বিভাগ ও খুলনা বিভাগের অন্তর্গত ইউনিয়ন সমূহের দলীয় চেয়ারম্যান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
এইউএ/জেএইচ/পিআর