মিথ্যাচারের সীমা অতিক্রম করেছে বিএনপি : নৌমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ১২ জুন ২০১৮

নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপি ও তার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে, তিনি জাতির পিতাকে নিয়ে বলেছেন, ‘শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধ করেনি, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেও মুক্তিযুদ্ধ হয়নি’। মিথ্যাচারের একটা সীমা থাকা উচিত। বিএনপি সেই সীমা অতিক্রম করেছে।’

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

নৌমন্ত্রী বলেন, `বাজেটে সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা চাপানো হয়নি। অর্থমন্ত্রীর দেয়া অতীতের বাজেটগুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হয়েছে, এবারের বাজেটও বাস্তবায়ন হবে এবং বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।‘

আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের একটি বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, `মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকাররা যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, তেমনি অনেক মুক্তিযোদ্ধাও রাজাকারদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে যেমনি রাজাকারের বিচার করা হচ্ছে, তেমনি ভবিষ্যতে মুক্তিযোদ্ধাদেরও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে।’ স্বাধীন দেশে থেকে এমন মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখাতে পারে, কারণ তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।'

বিগত এপ্রিল মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিচার দাবি করে শাজাহান খান ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে হত্যার গুজব ছড়িয়ে উসকানি দিয়ে দেশে অরাজকতা, নাশকতা, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা; জামায়াত-শিবির, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তি ও তাদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ করা এবং এ ধরনের যেসব ব্যক্তি বর্তমানে সরকারি চাকরিতে বহাল, তাদের চিহ্নিত করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা; যুদ্ধাপরাধীদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা; ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতাকারীদের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা; মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুণ্নকারী এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের ‘হলোকাস্ট বা জেনোসাইড ডিনায়েল ল’-এর আদলে আইন প্রণয়ন করে বিচারের ব্যবস্থা করা।

তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল হলেও জামায়াত-রাজাকারদের সন্তানরা যেন সরকারি চাকরি না পায়। কেননা, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের সন্তানরা সরকারি চাকরি পেলে আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। দেশপ্রেমহীন মেধা দেশের কোনো কল্যাণে আসে না, এ কারণে মেধাবী হলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াত-রাজাকার আর আল-শামসদের সন্তানরা যেন সরকারি চাকরিতে ঢুকতে না পারে, এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

এইচএস/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।