লতিফের এমপিপদ বাতিলে আ. লীগের সুপারিশ


প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৫

মন্ত্রিত্ব ও দলীয় সদস্যপদ হারানো সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি)`কে সুপারিশ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এর আগে দলটি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তার (লতিফ সিদ্দিকী) এমপি পদ বাতিলের  সুপারিশ করে দলটি।

রোববার দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়। দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের চিঠিটি  পৌঁছে দেন। নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চিঠিটি গ্রহণ করেন। এ সময় মৃণাল কান্তি দাসের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওসার।

এর আগে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য পদ বাতিল করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় সংসদের নেই বলে নিজেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিতভাবে জানান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। সংসদ সদস্য পদ নিয়ে ইসি থেকে চাওয়া বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা জানান। লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. রুবেল সিইসি বরাবর লিখিত এ চিঠিটি জমা দেন। চিঠিটি ছিল সাংসদের প্যাডে লেখা।

মৃণাল কান্তি দাস সাংবাদিকদের বলেন, লতিফ সিদ্দিকী আর আওয়ামী লীগের কেউ নন। তিনি আইনগতভাবেই ওই অধিকার হারিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদকের চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ওই চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের অনুরোধ করা হয়েছে।

গত ১৩ জুলাই লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চিঠি দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় গঠনতন্ত্র অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদও নেই,  সেহেতু এই দলের মনোনয়নে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য পদেও তাকে বহাল রাখা সমীচীন হবে না।

এরপর লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার। ওই চিঠির সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের চিঠিটিও যুক্ত করেন স্পিকার।

চিঠিটি পাওয়ার পর ইসি আওয়ামী লীগ ও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে। রোববার ব্যাখ্যা দেওয়ার শেষ দিন ছিলো। নিজ দল আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের ব্যাপারে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববারের মধ্যেই আওয়ামী লীগও এ ব্যাপারে জানাতে বলা হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে দু`পক্ষ থেকেই ইসিতে চিঠি দেওয়া হলো।

উল্লেখ্য, পবিত্র হজ, তবলিগ জামাত ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় দলীয় সদস্য পদ ও মন্ত্রিত্ব হারান। এবার সংসদ সদস্য পদও হারাতে বসেছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এক্ষেত্রে শুনানি করেই তার ভাগ্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ইসি।

সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানোর বিষয়ে স্পিকারের চিঠির পর নড়েচড়ে বসেছে ইসি।

# আমাকে বহিষ্কারের এখতিয়ার আ.লীগের নেই

এইচএস/আরএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।