ঝালকাঠিতে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত


প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৫

ঝালকাঠির সুগন্ধা, বিষখালী ও হালতা নদীতে ঘূর্ণিঝড় কোমেন ও পূর্ণিমার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৪ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।  এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মাছের ঘের, আমন বীজতলা, হাজার হাজার একর জমির ফসল ও ফসলি জমি।  শহরের লঞ্চঘাট থেকে কাঠপট্টি ট্রলারঘাট পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধ উপচে ভিতরে ভিতরে পানি প্রবেশ করায় তলিয়ে গেছে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দেড় শতাধিক পরিবার।|

রোববার দুপুর ১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের লঞ্চঘাট থেকে পুরাতন কলাবাগান, নতুন কলাবাগান, কলাবাগান চর ও কাঠপট্টি ট্রলারঘাটে পানির প্রবল চাপে শহর রক্ষা বাঁধ উপচে এবং পানি চলাচলের জন্য ব্রিজের নীচ থেকে পানি ভিতরে প্রবেশ করছে।  এতে করে পুরাতন কলাবাগান চর এলাকায় হালিমা-মোয়াজ্জেম হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়, হালিমা-ইউসুফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং দেড় শতাধিক বাসিন্দার ঘরের ফ্লোরে পানি প্রবেশ করে।  স্কুল ছুটি হবার পরে শিক্ষার্থীরা পানির প্রবল স্রোত অতিক্রম করে বাড়িতে যাবার সময় কয়েকজনে হোঁচট খেয়ে পড়ে বই খাতা ভিজে গেছে।  এ কারণে দুপুর ১২টার মধ্যেই স্কুল দু’টি ছুটি দিয়ে দেয় শিক্ষকরা।  

স্থানীয় বৃদ্ধ খালেক হাওলাদার ও তার স্ত্রী বৃদ্ধা আনজারা বেগম বলেন, সিডরের সময় ঘর ভেঙে গেছে।  অনেকে অনেক কিছু পেলেও আমরা কিছুই পাইনি।  ভাঙা ঘরের ভিতর প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে।  ঘরের খাডাল (ফ্লোর) কাদা হয়ে গেছে।  নাতি-নাতনি নিয়ে ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে থাকায় অসুখ-বিসুখ হচ্ছে।

স্থানীয় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আ. হামিদ খান বলেন, কয়েকবার সাইক্লোন শেল্টারের জন্য বরাদ্দ এনেছিলাম, কিন্তু তা এখানে প্রয়োজন হলেও কর্তৃপক্ষ এখান থেকে বরাদ্দটি সরিয়ে নেয়।  বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি পেলেই স্কুল ছুটি দিতে হয় এবং এ এলাকার বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ওই ওয়ার্ডে নিয়মিত পরিদর্শন ও বাসিন্দাদের খোঁজখবর রাখছি। নিচু ও ঘনবসতি এলাকায় একটি সাইক্লোন শেল্টার অতি প্রয়োজন।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।