খালেদাকে লন্ডন পাঠান : বি চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১১ পিএম, ১০ জুন ২০১৮

সর্বোত্তম চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডন পাঠাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

রোববার (১০ জুন) রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ আহ্বান জানান।

বি. চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি (বেগম জিয়া) সাত মিনিট অজ্ঞান ছিলেন। এ কথা সঠিক হলে তার নিশ্চয়ই টিআইএ হয়েছিল। অর্থাৎ সাময়িকভাবে তার মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে গিয়েছিল। এ ধরনের রোগীর ভবিষ্যতে ব্রেন স্ট্রোক বা প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেহেতু এ পর্যায়ে সর্বোত্তম নিউরোলজিক্যাল সেন্টারে তার চিকিৎসা হওয়া উচিত।

দেশের খ্যাতনামা এ চিকিৎসক বলেন, যেহেতু খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলের নেতা ছিলেন সুতরাং অন্য বিবেচনা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও সামাজিক বিবেচনায় তার সঠিক চিকিৎসা হওয়া উচিত।

রোগবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডা. বি. চৌধুরী বলেন, প্রয়োজন হলে সর্বোত্তম চিকিৎসার জন্য তাকে (খালেদা জিয়া) বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো উচিত। এ হিসাবে তাকে লন্ডনের ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি কুইনন্স স্কয়ার অথবা লন্ডনের হ্যামার স্মিথ হাসপাতালের (সাবেক রয়েল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল স্কুল) মতো নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন এখন জনগণের মৌলিক দাবি। এ জন্য নির্বাচনের অন্তত ১০০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। যাতে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। তার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা সব দলের সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বি চৌধুরী আরও বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্ন উঠলেই সরকারের মন্ত্রীরা বলেন, সেটা সংবিধানে নেই। কিন্তু আমি যখন সংসদে উপনেতা ছিলাম সে সময় ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর একরাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করেছিলাম, এরপর মাত্র চার মাসের মধ্যে নতুন নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিলাম। সুতরাং আপনারা (আওয়ামী লীগ) কেনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকার আগামী এক মাসের মধ্যে করতে পারবেন না? সত্যিকারের নির্বাচন চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকারের বিকল্প নেই।

বিজেডির চেয়ারম্যান ডা. এস এম শাজাহানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশিদ, বিজেডি নেতা হারুন অর রশিদ, আবুল হাসেম সরকার, আতিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এইউএ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।