জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৫

বাগেরহাটে নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্নস্থানে বেড়িবাঁধ উপচে ও ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তি হাট-বাজার, মিল, কল-কারখানা, মাছের ঘের, পুকুর, ফসলি জমিসহ কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক ঘর-বাড়ি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাগেরহাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মোড়েলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ও নাজিরপুর প্রকল্পের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। পানির তোড়ে সেখানকার ঘর-বাড়ি এবং ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।  এছাড়া মোরেলগঞ্জ পৌরসভা ও সদর উপজেলার যাত্রাপুুর বাজার এবং সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামের বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঠুকে পড়েছে। ফলে, জলমগ্ন ওই সকল এলাকার সহস্রাধিক পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। 



মুক্তিযোদ্ধা সরদার বজলুর রহমান জানান, রোববার দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে ভৈরব নদী তীরবর্তি বেড়িবাঁধ ভেঙে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোড়ামারা মধ্যপাড়া এলাকার কয়েশ ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।  এসব এলাকার মানুষ এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। দ্রুত বেড়িবাঁধটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্জকরণ গ্রামের ফেরদৌস মুন্সি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৌবজ্ঞহাটি প্রকল্পের নির্মানাধীণ বেড়িবাঁধ ভেঙে পঞ্চকরণ বাজার ও গ্রামের দুই/তিনশ ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক পরিবারে রান্না-বান্না বন্ধ হয়েছে। এসব এলাকার ফসলি জমি, মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ভৈরব নদীতে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে বেড়িবাঁধ উপচে সমৃদ্ধ যাত্রাপুর বাজার প্লাবিত হয়েছে। পানির কারণে বাজারের দোকান-পাট, মিল কলকারখানা, খাদ্য গুদাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বসত-বাড়ি। মাছের ঘের, পুকুর, ফসলি জমিসহ সবকিছু তলিয়ে গেছে।



বাগেরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনদ্দিন বলেন, পূর্ণিমার জোয়ারে জেলার সকল নদ-নদীর পানি দুই থেকে তিন ফিট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ ও ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলোর মেরামত কাজ চলছে।

শওকত/এমএএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।