ইনু সন্ত্রাসী গডফাদারের ভূমিকায় : রিজভী
আওয়ামী লীগকে সন্তষ্ট করার জন্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এখন সন্ত্রাসী গডফাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। সোমবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন। মুলত গত ৪ জুলাই তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র নিধনের সরকারি কর্মসূচির বাস্তবায়নকারীদের অন্যতম একজন হলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ৭২-৭৫ এর জাসদের সশস্ত্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ট্রমাটাইজড্ শাসক দল আওয়ামী লীগকে সন্তষ্ট করার জন্য তথ্যমন্ত্রী নিজেই এখন সন্ত্রাসী গডফাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। গত ৪ জুলাই রাজধানীর স্বামীবাগে হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রা অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তথ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যই স্বাভাবিক। কারণ স্বয়ং শাসকদলের নেতারাই জাসদের ৭২-৭৫ এর জঙ্গি ভূমিকা নিয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখছেন। তাই ক্ষমতাসীন শাসক জোটের অংশ হয়ে হাসানুল হক ইনু এখন বিব্রত। সেই জন্য জনদৃষ্টিকে দিকভ্রান্ত করার জন্য তথ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর মনোরঞ্জনের জন্য ঘাতকের তরবারি হাতে নিয়ে বক্তব্য রাখছেন।
রিজভী বলেন, সমস্ত হিংস্রতা দিয়ে বিরোধী দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার পাখা যখন ঝটপট করে তখন সেই ঝটপটানীকে অবাধ ও অবিরাম রাখার জন্য তথ্যমন্ত্রী সেই প্রতিহিংসার আগুনে ঘি ঢেলে দেন নানা বাক্যবাণ দিয়ে। এতে তার মন্ত্রিত্ব নিরাপদ হয়, আর জাসদ নিয়ে শাসক দলের ক্ষোভকে ভুলিয়ে দেয়া যায়।
তিনি বলেন, যে আওয়ামী দুঃশাসনে বলি হয়েছে জাসদের ২০ হাজার নেতা-কর্মী বলে এখনো দাবি করেন জাসদ নেতারা অথচ সেই আত্মদানকারী কর্মীদের রক্ত ডিঙ্গিয়ে শুধুমাত্র মন্ত্রিত্বের লোভে কতটা নীচে নামতে হয় তা তথ্যমন্ত্রী এক নতুন নজির সৃষ্টি করেছেন। শুধু স্বার্থের জন্য, লোভের জন্য ২০ হাজার কর্মীর উৎসর্গকে যারা তাদেরই হত্যাকারীদের কাছে বিক্রি করে দিতে পারেন তাদের কাছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা কিংবা মানুষের কী মূল্য আছে?
বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই বিরোধী দল বরদাশত করে না। সুতরাং বিএনপির অস্তিত্বই শাসক দল ও জোটের অন্ধ হিংসার কারণ। এই সরকার জনগণের নয়। ক্ষমতাসীন দল ও মহাজোট এখন বিষোদগারের বিষের কলসী। বিষকন্যার বিষকুম্ভ থেকে গরল ধারা পান করে মোসাহেব মন্ত্রীরা নিজেদের চেয়ার রক্ষা করতে চাচ্ছেন। তবে ইতিহাসের শিক্ষা তো এরা কখনোই নেবে না। সুতরাং এক ভয়ংকর পরিণতির জন্য তাদেরকে অপেক্ষা করহে হবে।