প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে মোশাররফের সমালোচনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ৩১ মে ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সমালোচনা করতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি বি চৌধুরী আর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আক্রমণ করেছেন তা কোনো সরকার প্রধান করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী যদি তার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের ভিডিও কিংবা অডিও পুনরায় দেখেন তাহলে শুধু দেশের জনগণ নয় তিনি নিজেও লজ্জা পাবেন।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যকে লজ্জাজনক মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ভারতকে কি কি দিয়েছেন তা জনসম্মুখে প্রকাশ করুণ। এটা জনগণ জানতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভারতকে দিতে পারেন কিন্তু নেয়ার ক্ষমতা তার নেই। তিনি দেশের জনগণের বাঁচা-মরার প্রধান সমস্যা তিস্তা পানিসহ অন্যান্য ন্যায্য হিস্যার বিষয়ে কোনো কথাই বলেননি। অথচ তিনি বলেছেন, তিনি ভারতকে শুধু দিয়েই গেছেন। এটা জাতি হিসেবে নিজেদের দুর্ভাগ্য।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দেশের রাজনীতি এখন একটা অন্ধকার টানেলের মধ্যে প্রবেশ করেছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আগামীতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি স্বচ্ছ ও সব দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন আদায় করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সেই নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পেলেই দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কেএইচ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।